কলকাতাঃ সবজি বাজার নিয়ে এক কথায় উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে দেশের বেশিরভাগ রাজ্য। মাছ মাংসের দাম যাও বা একটু কমেছে কিন্তু সবজি বাজার করতে গিয়ে রীতিমতো ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে দেশবাসীকে। বাংলা থেকে দিল্লি, মুম্বাই, ওড়িশা সব জায়গায় একই চিত্র ধরা পড়ছে। সবথেকে বড় কথা, আলুর বাড়তি দাম নিয়ে একদিকে যখন ব্যবসায়ী, বিক্রেতারা মহা ফাঁপরে পড়েছেন, ঠিক সেভাবেই আনাজপাতি কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে সকলের। এহেন অবস্থায় এবার বিরাট পদক্ষেপ নিল বাংলার পড়শি রাজ্য ওড়িশা। সেইসঙ্গে বাংলার সরকারকেও তুলোধনা করে ছাড়ল।
বড় সিদ্ধান্ত ওড়িশার
বর্তমানে ওড়িশায় বিজেপির সরকার রয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যে ক্ষমতা বদল হয়েছে। আর ক্ষমতায় আসতে না আসতেই তৃণমূলকে তুলোধোনা করল এই বিজেপি সরকার। সেইসঙ্গে জানিয়ে দিল, যেহেতু সীমান্তে তোলাবাজি করে তৃণমূল, তাই বাংলা নয়, এবার উত্তরপ্রদেশ থেকে আলু কিনবে ওড়িশা।
উত্তরপ্রদেশ থেকে আলু ঢুকবে ওড়িশায়?
বিগত কয়েক বছর ধরে ওড়িশায় আলু পাঠাত বাংলা। কিন্তু এবার বাংলাকেই কার্যত বয়কট করে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের দ্বারস্থ হল ওড়িশা সরকার। সম্প্রতি ওড়িশার বিজেপি সরকারের খাদ্য সরবরাহ এবং উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী কৃষ্ণা চন্দ্র পাত্র বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এবার থেকে উত্তরপ্রদেশ থেকে ওড়িশা আলু নেবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ক্রমেই আলু আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। রাজ্যের সীমান্তে তৃণমূলের গুন্ডারা তোলবাজি করে এবং ব্যবসায়ী এবং ট্রাকচালকদের হেনস্থা করে।’ যাইহোক, বাংলা থেকে যদি ওড়িশায় আলু রফতানি না হয় তাহলে সেটা যে সরকারের পক্ষে মোটেই ভালো হবে না তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল।
কয়েকদিন আগেই এই আলু ইস্যুতে মমতাকে চিঠি দিয়েছেন ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা নবীন পট্টনায়েক। সেখানে নবীন পট্টনায়েক বলেন, বৃষ্টির জেরে ওড়িশার বাজারে আলুর যোগান কিছুটা কম রয়েছে। এই আবহে কৃত্রিম ভাবে ওড়িশার বাজারে আলুর দাম বাড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলা-ওড়িশা সীমান্তে আলুর ট্রাকের লম্বা লাইন রয়েছে। সেজন্য গোটা বিষয়টির ওপর যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হস্তক্ষেপ করেন সেই বিষয়ে দাবি করেছিলেন নবীনবাবু।
হু হু করে দাম বাড়ছে আলুর
এমনিতে এখনও অবধি খুচরো বাজারে আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিকোচ্ছে। আর যা কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে সকলের। এহেন অবস্থায় সকলেই দাম কমানোর আর্জি জানাচ্ছেন সরকারের কাছে।