কলকাতাঃ সরকারি কর্মীদের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় সরকার হোক কিংবা রাজ্য সরকার বিভিন্ন রকমের সুবিধা প্রদান করে থাকে। লক্ষ্য লক্ষ্য সরকারি কর্মীদের বিভিন্ন রকমের ভাতা থেকে শুরু করে আরও নানারকম সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় সরকারের ঘর থেকে। সরকারি কর্মীদের নানারকম ভাতা থেকে শুরু করে প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইপিএফ, পিপিএফ, জিপিএফের সুবিধাও দেওয়া হয়। তবে এবার এই বিষয়েই বড়সড় পরিবর্তন ঘটালো সরকার। বিশেষ করে এবার জিপিএফ নিয়ে বড় রকমের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। একটি বিশেষ নিয়ম বন্ধ করে দিল এই রাজ্যের সরকার।
বড় সিদ্ধান্ত সরকারের
সে কেন্দ্রীয় হোক বা অন্যান্য কোনো রাজ্যের সরকার কর্মীদের সব অংশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে চায়। অনেক পরিকল্পনাও চালানো হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রভিডেন্ট ফান্ড, যাকে সাধারণ ভাষায় পিএফও বলা হয়। এই পিএফের অন্যতম অংশ হল জিপিএফ বা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড। আপনিও যদি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হয়ে থাকে এবং সরকারি কর্মী হয়ে থাকেন তাহলে জেনে রাখুন, এই জিপিএফ নিয়ে বড়সড় বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্যের প্রিন্সিপ্যাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল। বিজ্ঞপ্তিতে সাফ সাফ জানানো হয়েছে যে এবার থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীরা তাঁদের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের বাৎসরিক রিপোর্ট শুধুমাত্র অনলাইনেই দেখতে পারবেন। অর্থাৎ আর কাগজে কলমে নয়, সবটাই হবে অনলাইনে।
GPF কী?
জিপিএফ শুধু সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য। এতে এক বছর ধরে সরকারি চাকরিতে কর্মরত অস্থায়ী ও স্থায়ী কর্মচারীদের হিসাব একটানা খোলা হয়। জিপিএফে কর্মচারীদের তাদের বেতনের কমপক্ষে ৬ শতাংশ অবদান রাখতে হবে, তবে এটি স্থগিত করা হয় না। তারপর অবসরের পর এককালীন টাকা পান কর্মীরা। এই অ্যাকাউন্টের অন্যতম প্রধান সুবিধা হল যে কর্মচারী জিপিএফ থেকে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা তুলতে করতে পারেন এবং পরে এটি জমা করতে পারেন। এর ওপর কোনো কর নেই। বর্তমানে জিপিএফে ৭ দশমিক ১ শতাংশ সুদ দেওয়া হচ্ছে।
জিপিএফ নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি
আসলে এতদিন এই জিপিএফ সম্পর্কিত বাৎসরিক রিপোর্ট হাতে পেতেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তবে এবার থেকে এই রিপোর্ট অনলাইনে দেখার কথা বলা হয়েছে। প্রটি বছর আগস্ট মাসেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। আর এখন আগস্ট মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। এই রিপোর্টে জিপিএফে কত টাকা ওই সময়ে জমা পড়ল বা তোলা হয়েছে, মোট কত টাকা তহবিলে আছে তার পূর্ণাঙ্গ হিসেব থাকে। আগে এই স্টেটমেন্ট ছাপিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হত। তবে এখন থেকে নিয়মে বদল ঘটেলো সরকার।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই জিপিএফে কত কী টাকা জমল, তোলা হল তার রিপোর্ট পেতে পশ্চিমবঙ্গের পিএজি অফিসের ওয়েবসাইটে চেক করতে হবে কর্মীদের। রাজ্য সরকারি কর্মীরা ইতিমধ্যেই মোবাইল নম্বরসহ নির্দিষ্ট ফর্মে নাম নথিভুক্ত করেছেন তাঁরা এই সুবিধা পাবেন আপাতত। নিজস্ব কোড ব্যবহার করে অনলাইনে নথি দেখতে পারবেন। কিন্তু এখনো অবধি যে সকল কর্মী এখনও নাম নথিভুক্ত করেননি তাঁদের সেই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে পরামর্শ দিয়েছে প্রিন্সিপ্যাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল। এরই সঙ্গে এবার থেকে শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে স্যালারি অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারের ঘর থেকে।