শ্রীলঙ্কার মতোই সংকটে হাসিনা! বিক্ষোভকারীদের পাশে বাংলাদেশের সেনা? বড় ঘোষণা

Published on:

sheikh hasina bangladesh violence

ঢাকাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই বাংলাদেশের অবস্থা আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে। কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ওপার বাংলা। অনেকেই আবার আশঙ্কা করছেন যে কোনও সময় শেখ হাসিনা সরকার ভেঙে পড়তে পারে। লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন রাস্তায় নেমে পড়েছেন। কয়েকদিন আগে অবধি কোটা বিরোধী আন্দোলনে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যা মোটেই কাম্য নয় বলে দাবি করেছেন সকলে। এখন বিভিন্ন সরকারি ভবনে হামলা চালানো হচ্ছে, সেই সঙ্গে বহু জায়গায় আগুনে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি রীতিমতো হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে সরকারের। এহেন অবস্থায় আগামী দিনে ওপার বাংলার ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকে আশঙ্কা করতে শুরু করেছেন।

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ

এতদিন ধরে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল হাজার হাজার পড়ুয়া। তবে এখন বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন দেশের সাধারণ মানুষও। সবথেকে বড় কথা, সরকারের পাশে নয়, পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশের সেনা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আন্দোলন রুখতে ইতিমধ্যেই কয়েক দফা সরকার এবং পড়ুয়াদের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে, কিন্তু বরফ যে গলেনি তা বলাই বাহুল্য। এদিকে আজ রবিবার থেকে দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের তরফে। এই পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।

বড় পদক্ষেপ সেনার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনার প্রস্তাব ছাত্র নেতারা প্রত্যাখ্যান করায় বাংলাদেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সেনাবাহিনী প্রধান (সিএএস) সেনা সদর দফতরে কর্মকর্তাদের সাথে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা করেন এবং ঘোষণা করেন যে বিক্ষোভকারীদের উপর আর কোনও গুলি চালানো হবে না। সেনার উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় সিএএস বলেছেন সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের ওপর আর কোনও গুলি চালাবে না। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ বিক্ষোভ।সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর না হলে দেশজুড়ে হত্যা, ধর্ষণ, লুঠপাট বেড়ে যাবে। তাই ক্ষমতার হস্তান্তর হলে তা শান্তিপূ্র্ণভাবে হতে হবে।

ফিরে দেখা শ্রীলংকা

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এখন যা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে তা আজ থেকে ২ বছর আগের শ্রীলংকার অবস্থার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে অনেককে। ২০২২ সালে সেই দেশ দফায় দফায় সরকারি বিরোধী আন্দোলনের জেরে কেঁপে ওঠে। সেই সময়ে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে শুরু করে নানা সরকারি জায়গায় ভাঙচুর, আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। সেইসময়ে অর্থনৈতিক সংকট চরমে উঠলে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষর সমর্থকদের সঙ্গে জায়গায় জায়গায় সংঘর্ষ শুরু হয় সরকার বিরোধীদের। এমনকী আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় রাজাপক্ষদের পৈত্রিক বাড়িতেও।

WhatsApp Community Join Now
সঙ্গে থাকুন ➥
X