ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ SSC, TeT নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যে অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। একাধিক দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে ED থেকে শুরু করে CBI-র মতন তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তবে এবার গোদের ওপর বিষফোঁড়ার সমান হলো কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়। প্রাথমিকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য এমন একটি রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট যা শুনে সরকার নতুন করে অস্বস্তিতে পড়তে পারে আর এই রায় দেওয়া হয়েছে ব্রিজ কোর্স নিয়ে।
ব্রিজ কোর্স নিয়ে বড় রায় কলকাতা হাইকোর্টের
আসলে শিক্ষাব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে এবং হবু শিক্ষক, শিক্ষিকারা যাতে আরও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেন তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ব্রিজ কোর্স চালু করা হয়েছিল। বেশ কিছু রাজ্যে এই নিয়ম চালু হলেও বাংলায় এখনো অবধি এই নিয়ম চালু করে উঠতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আর জানিয়ে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন বহু শিক্ষক শিক্ষিকা। এই কোর্স চালু করা না নিয়ে সেই সঙ্গে বেতন বৈষম্য নিয়েও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বহু শিক্ষক শিক্ষিকা।
অভিযোগ, এই কোর্স না করার পরও কয়েক হাজার বিএড উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষককে রাজ্য সরকার এ–ক্যাটেগরির শিক্ষক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার ফলে উচ্চ স্কেলে বেতন দেওয়া হচ্ছে। এরপরেই বড় রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, ব্রিজ কোর্স না করা সত্ত্বেও যদি রাজ্য সরকার ৩,৪৪৬ জনকে এ–স্কেলে বেতন দিতে পারে, তাহলে মামলাকারীরা বঞ্চিত হতে পারে না।
বড় অভিযোগ বিএড উত্তীর্ণ শিক্ষক-শিক্ষিকার
কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বড় অভিযোগ করেছেন বি এড উত্তীর্ণ শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাদের সকলের বক্তব্য তাদের সমান হয়েও বহু শিক্ষক শিক্ষিকা বাড়তি বেতন পাচ্ছেন, অথচ তাঁদের কপালে ‘হরি মটর’ জুটছে। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের বক্তব্য, এই ক্যাটাগরির যারা বেতন পাচ্ছেন তাদের বেতন নিয়ে কোনওরকম আপত্তি তিনি আদালতের, যদিও রাজ্যের প্রতি আদালতের প্রশ্ন একই যাত্রার পৃথক ফল কেন হবে। সেক্ষেত্রে যারা মামলাকারী তাদের বেতনের ব্যাপারটাও সরকারকে দেখতে হবে। এদিকে সরকারও স্বীকার করে নেই যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক ব্রিজ কোর্স না করেও উচ্চ হারে বেতন পাচ্ছেন।
কলকাতা হাইকোর্টের বক্তব্য, যাঁরা এতদিন উচ্চ হারে বেতন পাচ্ছেন, তাঁদের সেই বেতন রাজ্য ফেরাবে কিনা সেটা তাদেরই ঠিক করতে হবে। যোগ্যতার বিচারে সকলকে সমান হারে বেতন দেওয়া হোক সেটাই চাইছে কলকাতা হাইকোর্ট।