ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নাকি বাংলাদেশ সেনার হেলিকপ্টার করে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলাতে এসেছেন। বর্তমানে ভারতই তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা। এরপর কোথায় যাবেন, তা নিয়ে চূড়ান্ত খবর না পেলেও জানা যাচ্ছে যে, তিনি দুবাই যেতে পারেন। তবে, হাসিনার পদত্যাগ আর দেশত্যাগের পরেও বাংলাদেশ এখনও শান্ত হয়নি। এক কোটা আন্দোলনকে ঘিরে যেই পরিস্থিতি হল প্রতিবেশী দেশের, তা গোটা বিশ্বে বিরল। বিগত কয়েক বছরে এমন পতন বেশ কয়েকবারই দেখা গিয়েছে। প্রথমে আফগানিস্তান, তারপর শ্রীলঙ্কা। আর এখন বাংলাদেশ। একের পর এক দেশে পরপর এমন ভাবে সরকার বিরোধী আন্দোলন আগে দেখেনি বিশ্ব।
এখন কোন পথে চলবে বাংলাদেশ? তা নিয়ে চলছে বিস্তর পর্যালোচনা। আর এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি এই নিয়ে বৈঠকও সেরে ফেলেছেন বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের সেনা প্রধান জানিয়েছেন যে, ‘আমাদের আলোচনায় দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা হবে। এখন অন্তর্বর্তী সরকারই দেশ চালাবে।’
সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য
পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, সব হত্যা ও অন্যায়ের বিচার হবে। আমাদের উপর আস্থা রাখুন। আমারা আপনাদের দাবি পূর্ণ করব এবং দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব।’ দেশের জনতাকে ভাঙচুর, রাহাজানি, হত্যা এবং হামলা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। ওয়াকার-উজ-জামান এও জানিয়েছেন যে, সব মানুষের মত নিয়েই বাংলাদেশের নতুন সরকার তৈরি হবে।
আগরতলায় এসেছেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশি মিডিয়া সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইস্তফা দেওয়া এবং দেশ ত্যাগের আগে বাংলাদেশের জনতার জন্য একটি বক্তব্য রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একা ভারতে আসেননি, তিনি তাঁর বোন রেহানাকেও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন।