মেদিনীপুরঃ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাণ্ডকারখানা নিয়ে হামেশাই কিছু না কিছু খবর প্রকাশ্যে উঠে আসে। কয়েকদিন আগেই আসানসোলের এমন এক শিক্ষকের ব্যাপারে জানা গিয়েছিল যিনি কিনা একা হাতেই স্কুলে পড়ুয়াদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে মিড ডে মিল একা হাতেই সব সামলাচ্ছেন। সেই স্কুল শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে বলে এই পরিস্থিতি। আবার কোথাও না কোথাও মিড ডে মিলের চাল চুরি, অথবা কোথাও স্কুলের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা মেরে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এবার তো উঠল আরও সাংঘাতিক অভিযোগ। এবার কিনা সই নকল করে স্কুলের জমি বিক্রি ও দখলের অভিযোগ উঠল!
শিক্ষকের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ
পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর এবং রামনগরে এমন এক নক্ক্যারজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে যা শোনার পর সকলের চোখ রীতিমতো কপালে উঠেছে। অভিযোগ, দুটি স্কুলের জমি বিক্রি করে দিয়েছেন স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক। যার মধ্যে একটি স্কুলের ৩০ ডেসিমাল জায়গা এবং অন্য স্কুলের ১৭ ডেসিমাল।
অভিযোগ, পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের অমর্ষি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত একটি স্কুলের ৩০ ডেসিমাল জমি বিক্রি করা হয়েছে। অন্যদিকে রামনগর-১ ব্লকের হলদিয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাদী রাজেন্দ্র নারায়ণ হাইস্কুলের ১৭ ডেসিমাল জমিও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ব্যাপারটা আরও সাংঘাতিক কারণ স্কুল পরিদর্শকের সই নকল করে প্রধান শিক্ষক এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
অভিযোগ স্বীকার ‘গুণধর’ প্রধান শিক্ষকের
ইতিমধ্যে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন ‘গুণধর’ প্রধান শিক্ষক। জানা গিয়েছে, অর্জুনি মৌজায় রাজেন্দ্র নারায়ণ হাইস্কুলের ১৭ ডেসিমাল জমি ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার মণ্ডল। তিনি নাকি দিঘা চক্রের স্কুল পরিদর্শক কৃষ্ণেন্দু পালের সই নকল করেছেন। স্কুলের পরিচালন কমিটির এক সদস্যের অভিযোগের ভিত্তিতে নড়েচড়ে বসেন সকলে। অন্যদিকে পটাশপুরের আরেকটি স্কুলের ৩০ ডেসিমাল জমি দুজন স্থানীয় বাসিন্দাকে ২০১৩ সালে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেক্ষেত্রেও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও। রামনগরের স্কুলটির প্রধান শিক্ষককে জমি ফিরিয়ে দিতে বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। যদিও দুটো ঘটনাতেই স্কুল পরিদর্শককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।