ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ বাম রাজনীতির এক অধ্যায়ের অবসান, প্রয়াত হলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। দফায় দফায় বাড়ি, হাসপাতাল লেগেই ছিল। কিন্তু আর শেষ রক্ষা হল না। আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে নিজের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে প্রয়াত হলেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল রাত থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এরপর আজ ভোররাত থেকে আচমকা জ্বর বেড়ে যাওয়ার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে তার আগেই পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা যাচ্ছে, প্রাতরাশ করার সময়েই আচমকা তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। শ্বাস নিতে সমস্যা শুরু হয়। এরপরে সকলের চোখের সামনেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। জীবিতকালে তিনি মোটেই হাসপাতালেই যেতে চাইতেন না, এক কথায় হাসপাতালের প্রতি বরাবরই তাঁর অনীহা ছিল। যতবারই হাসপাতালে গিয়েছেন একটু সুস্থ হতে না হতেই বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য আবদার করতেন।
২০০০ থেকে ২০১১ সাল অবধি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন ছিলেন তিনি। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনী ভট্টাচার্য রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে স্কুল শিক্ষক ছিলেন। বিধায়ক ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর ২০০০ সালে বসু পদত্যাগ করার আগে তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী হন। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ২০০১ এবং ২০০৬ সালে সিপিএমকে বিধানসভা ভোটে জয়ী করেছিলেন।
তাঁর আমলে বামফ্রন্ট সরকার জ্যোতি বসুর জমানার তুলনায় ব্যবসার ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে উন্মুক্ত নীতি গ্রহণ করেছিল।