কলকাতাঃ আরজি কর কাণ্ডে ধৃত এবার নিজেই দোষ স্বীকার করল। পাশাপাশি সে নিজেকে ফাঁসি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, মৃত ছাত্রীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে তদন্তকারীরা বড় তথ্য পান। তদন্তকারীরা ওই ছাত্রীর মৃত্যু ভোর তিনটে থেকে ছয়টার মধ্যে হয়েছে বলে জানতে পেরেছিলেন। এরপর CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক সন্দেহভাজনের গতিবিধি নজরে আসে।
এরপর সঞ্জয় রায়কে আটক করে পুলিশ। তবে, আটকের পর অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় তদন্তকারীদের নাকানিচোবানি খাওয়াতে থাকে। অভিযুক্ত প্রথম থেকেই নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমাণিত করতে চেয়েছিল। আর সেই কারণে সে জানায় যে, চেস্ট মেডিসিন বিভাগের রোগীদের দেখতে গিয়েছিল ভোরবেলা।
দোষ স্বীকার আরজি করের অভিযুক্তের
তবে গোয়েন্দারা তার কথায় সন্তুষ্ট ছিলেন না। এরপর তাঁরা নিজেই চেস্ট মেডিসিন বিভাগের রোগীদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালান। ওই সিভিককে কেউ চেনেন না বলে জানিয়ে দেন রোগীরা। এরপর সিভিকের উপর আরও সন্দেহ বাড়ে তদন্তকারীদের। এরপর শুরু হয় ম্যারাথন জেরা। আর সেই জেরাতেই ভেঙে পড়ে নিজের দোষ স্বীকার করেন অভিযুক্ত। তদন্তকারীদের চিরুনি তল্লাশি আর আঁটসাঁট প্রশ্নের মুখে কার্যত অসহায় হয়ে পড়ে চতুর সিভিক। খেলা শেষ হয়ে যায় তার। শেষমেশ জেরাতে ভেঙে পড়ে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় সে। সূত্রের খবর সে পুলিশকে এও জানায় যে, তাঁকে ফাঁসি দিয়ে দেওয়া হোক।
ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের কীর্তি
তবে এই কাণ্ডের পর সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ের অনেক কুকীর্তিও সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে, সঞ্জয়ের সবথেকে বড় নেশা ছিল বিয়ে করা। এক আধটা নয়, পাঁচ পাঁচটা বিয়ে করেছিল সঞ্জয়। প্রতিবেশীদের মতে, প্রথমে বেহালার তরুণী এরপর পার্কসার্কাস, বারাকপুর, আলিপুরের আরও তিন তরুণীকে সে বিয়ে করে সঞ্জয়। শুধু একাধিক বিয়েই নয়, বিয়ের পর বউদের উপর অত্যাচারও নাকি চালাত সঞ্জয়। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন যে, হামেশাই বাড়ি থেকে চিৎকার, চেঁচামেচির আওয়াজ আসত।