কলকাতাঃ লাগাতার কিছু সময় ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ। দফায় দফায় বিক্ষোভের আগুন জেলে উঠছে ওপার বাংলার একের পর এক জায়গা। সব থেকে বড় কথা হিংসার আগুনে জ্বলে পুড়ে একপ্রকার শেষ হয়ে যাচ্ছেন সংখ্যালঘু হিন্দুরা। প্রাণ বাঁচাতে দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে ছুটে চলেছেন তারা। শুধুমাত্র তাই নয়, প্রাণ বাঁচাতে ভারতে ঢোকার আর্জিও জানাচ্ছেন সকলে। এর জেরে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে বহু সংখ্যালঘু মানুষ প্রত্যেকদিন এসে ভিড় জমাচ্ছেন। তাদের একটাই অনুরোধ, ভারতে ঢুকতে দিতে হবে। এদিকে যেনতেন প্রকারে অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্ত জুড়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে BSF। কিন্তু এত কিছুর মাঝেই হঠাৎ করে বড় ঘটনা ঘটে গেল সীমান্তে। সকলের একটাই কথা, নদীয়ার আকাশে ওটা কিসের আলো?
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে রহস্যময় আলো
বাংলাদেশের এহেন কঠিন পরিস্থিতির মাঝেই সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তায়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এসবের মাঝেই সকলের মধ্যে আতঙ্কে পরিবেশের সৃষ্টি হল। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কি হয়েছে তাহলে বিষদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর। হঠাৎই আকাশে অদ্ভুত আলোর দেখা মিলল। আর এই রহস্যজনক আলো দেখেই একসঙ্গে অবাক এবং আতঙ্ক সাধারণ মানুষ। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে এই রহস্যময় আলোর দেখা মিলেছে। এটা ছিল রহস্যময় আগুনের গোলা। সামনে রয়েছে ১৫ ই আগস্ট আর এ বিশেষ দিনটিকে উপলক্ষে জায়গায় জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে কিন্তু সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি রহস্যময় আলোকে ঘিরেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সকলের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণগঞ্জের ২০০ মিটার পরেই বাংলাদেশ। আর সেখান থেকেই ছুটে এসেছে আগুনের গোলা বলে ভয় গ্রাস করেছে গ্রামবাসীদের। এদিকে খবর পেয়েই দ্রুত তৎপর হয় বিএসএফ এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি ঠান্ডা করার চেষ্টা করে।
বড় দাবি BSF -র
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে রহস্যময় আলোর ব্যাপারে মুখ খুলেছে বিএসএফ। আর বিএসএফ যা জানিয়েছে তা শোনার পর তাজ্জব সকলেই। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত যে আগুনের গোলার মতো জিনিসটি দেখা গিয়েছে সেটি আসলে বিএসএফ ব্যবহার করে। অন্ধকারে দূর পর্যন্ত দেখতে আকাশে এই আলো ছুঁড়ে দেওয়া হয়। ১৫ অগস্টের আবহে বিশেষ নজরদারির অংশ হিসেবে বিএসএফ সীমান্তে সেই আলো ব্যবহার করছে। পরে গ্রামবাসীদের বিষয়টি বুঝিয়ে হলা হয়।