কলকাতাঃ আর জি করের ঘটনায় এখন সমগ্র ভারত উত্তাল হয়ে রয়েছে। এই ঘটনা এখন আর শুধুমাত্র বাংলাতেই সীমাবদ্ধ নেই। বাংলা, বিহার, মুম্বাই, দিল্লি সহ নানা জায়গা দফায় দফায় অশান্ত হয়ে উঠছে। এরই মাঝে চিকিৎসক খুনে কড়া পর্যবেক্ষন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।
মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ
এই ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টে হাজির হন মৃত মহিলা চিকিৎসকের বাবা। কারণ আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টে আরজি কর কাণ্ডে দায়ের হওয়া একাধিক জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছে। এদিকে এই ঘটনায় বড় পদক্ষেপ নিলেন বিচারপতি। তিনি মৃতার বাবাকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন।
কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের
আর জি কর কাণ্ডে কেস ডায়েরি তলব করলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। দুপুর একটার মধ্যে কেস ডায়েরি তলব করা হয়েছে। অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগপত্র এবং নতুন নিয়োগপত্রও তলব করা হয়েছে। এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘প্রথমে পরিবারকে বলা হয় যে আপনার মেয়ে অসুস্থ পরে বলা হয় যে সে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারকে তিনঘণ্টা বসিয়ে রেখে আত্মহত্যার কথা বলা হলে বুঝতে হবে প্রশাসন সঙ্গে নেই।’
আন্দোলনকারীদের নিয়ে বড় মন্তব্য প্রধান বিচারপতির
আন্দোলনকারীদের নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনরত চিকিৎসকদের আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। তাঁদের এক সহকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। যে নৃশংসতার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে তাতে চিকিৎসকদের এই অবস্থানকে অন্যায্য বলা যায় না।’
আরজি করের ঘটনায় বড় দাবি মন্তব্য করেছেন মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তিনি এদিন কামদুনির প্রসঙ্গ অবধি টেনেছেন। বললেন, ‘এই মামলাও কামদুনির পথে এগোবে এবং সমস্ত অপরাধী ছাড়া পেয়ে যাবে। বিনীত গোয়েল কামদুনি মামলাতেও ছিলেন। তাঁকে এই মুহূর্তে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হোক। তিনি কামদুনি মামলায় কী করেছেন আমরা জানি।’