নয়া দিল্লিঃ আবারও আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের জয়জয়কার। ভারতের মাটিতে এবার এমন এক গাড়ি তৈরি হল যা জাপানে যাবে। দেশ তথা বিশ্বের তাবড় তাবড় গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলার মতো কাজ করল মারুতি সুজুকি। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে ততই গাড়িপ্রেমীদের মধ্যে SUV গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। আর সকলের এহেন চাহিদাকে মান্যতা দিয়েই মারুতি এবার এমন এক এসইউভি গাড়ি আনল যা সকলকে চমকে দিয়েছে।
বড় চমক Maruti Suzuki-র
আসলে মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া তার মেড-ইন-ইন্ডিয়া SUV Fronx জাপানে রফতানি শুরু করেছে। গুজরাটের পিপাভাভ বন্দর থেকে প্রথম ১৬০০ ইউনিট গাড়ি জাপানে এক্সপোর্ট করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়ার এহেন পদক্ষেপে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির। আসলে এই Fronx হল মারুতির প্রথম মেড-ইন-ইন্ডিয়া এসইউভি গাড়ি যা জাপানে রফতানি করা হবে। এটি জাপানে লঞ্চ হওয়া মারুতির প্রথম এসইউভি। গাড়িটি বিশেষভাবে মারুতির গুজরাট প্ল্যান্টে তৈরি করা হয়েছে। ২০১৬ সালে Baleno-র পর Fronx হল দ্বিতীয় মারুতি গাড়ি যা জাপানে রফতানি করবে মারুতি সুজুকি।
জাপানে যাচ্ছে ভারতের তৈরি গাড়ি
এতদিন জাপান থেকে ভারতে বহু গাড়ি এসেছে। তবে এবার ভারত থেকে জাপানের মতো উন্নত দেশে যাবে গাড়ি। মারুতি সুজুকির প্রায় ৫৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক সুজুকি মোটর কর্পোরেশন এই বছরের শেষের দিকে জাপানের বাজারে ফ্রনক্স আনার পরিকল্পনা করছে। এই প্রসঙ্গে মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও হিসাশি তাকেওচি বলেছেন, “জাপান বিশ্বের অন্যতম মান-সচেতন এবং উন্নত অটোমোবাইল বাজার। জাপানে আমাদের রফতানি মারুতি সুজুকির বিশ্বমানের যানবাহন তৈরির দক্ষতার প্রমাণ দেয় যে ভারতের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স কতটা ভালো।”
Auto Expo 2023-এ মারুতি সুজুকির Fronx ভারতে লঞ্চ হয়েছিল। এদিকে এটি লঞ্চের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে ১০০,০০০ ইউনিট বিক্রয় করা দেশের দ্রুততম এসইউভি হয়ে ওঠে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে, মারুতি লাতিন আমেরিকা, মধ্য প্রাচ্য এবং আফ্রিকার মতো গন্তব্যগুলিতে Fronx এর রফতানি শুরু করে। লঞ্চ হওয়ার পর থেকে সামগ্রিকভাবে, Fronx দেশীয় এবং রফতানি বাজারে এখনও অবধি ২০০,০০০ ইউনিটেরও বেশি বিক্রির রেকর্ড করেছে। ভারতের বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মারুতি ২০২৪ অর্থবর্ষে ১০০টিরও বেশি দেশে ২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি গাড়ি পাঠিয়েছে। দেশ থেকে যাত্রীবাহী গাড়ি রফতানিতে প্রতিষ্ঠানটির ৪২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।