কলকাতাঃ চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনায় দোষীদের পাকড়াও করে শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত ৯ ই আগস্ট এই ঘৃণ্য ঘটনা ঘটে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে। প্রথমে ঘটনাটি নিয়ে বেশি জলঘোলা না হলেও চিকিৎসকের বিক্ষোভ যেভাবে দিন দিন বাড়তে থাকে দেশজুড়ে, তাতে সক্রিয় হতে বাধ্য হয় প্রশাসন। তবে শুধু চিকিৎসকরা নয়, আরজি করে নির্যাতিতা তরুণীর জন্য বিচার চাইছে প্রতিটি মহিলাও। সেই কারণে গত ১৪ ই আগস্ট দেশজুড়ে দেড়শোর বেশি মিছিলে হাঁটেন হাজার হাজার মহিলা। আর এবার এই মিছিল ও প্রতিবাদ নিয়ে সরব হলেন রোদ্দুর রায়।
রোদ্দুর রায় হলেন একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার, যিনি নিজেকে ‘মোক্সাবাদ’-এর প্রবর্তক বলে দাবি করেন। তার জীবনদর্শন অন্যদের থেকে অনেকটাই আলাদা। তিনি খোলামেলাভাবে, চাঁচাছোলা ভাষায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ভালোবাসেন। এই কারণে তাকে একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এমনকি জেলে দিন কাটানোর অভিজ্ঞতাও রয়েছে রোদ্দুর রায়ের। ইতিমধ্যে, আরজি করের ঘটনা নিয়ে তিনি রাজ্যকে তোপ দেগেছেন। আবারও তিনি সরব হলেন এই নৃশংস ঘটনা নিয়ে।
মহিলাদের রাত দখল নিয়ে যা বললেন রোদ্দুর রায়
গত ১৪ ই আগস্ট মাঝরাতে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। একদিকে যখন রাস্তায় নেমে মহিলারা তিলোত্তমার জন্য বিচার চাইছেন, তখন অন্যদিকে একদল দুষ্কৃতী আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। প্রমান লোপাটের উদ্দেশ্যে এই কাজ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই প্রতিবাদ সম্পর্কে বলতে গিয়ে রোদ্দুর রায় একটি ভিডিওর মাধ্যমে বলেন, “তোমরা রাস্তায় ঘেউ ঘেউ করে কয়েকটা পোস্টার লিখবে, রাত দখল করে বলবে সারারাত আমরা এখানে জাগলাম, মেয়েরা রাস্তা দখল করেছে, তাতে কিচ্ছু যায় আসে না প্রশাসনের। তাঁরা দেখে মুচকি হাসছে।”
প্রতিবাদের উপায় বাতলে দিলেন রোদ্দুর রায়
শুধু আন্দোলনের সমালোচনা নয়, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার রোদ্দুর রায় এই ভিডিওর মাধ্যমে প্রতিবাদের উপায়ও বাতলে দিয়েছেন। তিনি বলে দিয়েছেন যে কিভাবে আন্দোলন করলে এই জঘন্যতম ঘটনার সুবিচার পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে তিনি আরজি কর হাসপাতাল ঘেরাও করার পরামর্শ দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের। পাশাপাশি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও করার বার্তাও দিয়েছেন তিনি এই ভিডিওর মাধ্যমে। এর পাশাপাশি, এই ভিডিওর মাধ্যমে তিনি পুলিশ ও মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালকেও একহাতে নিয়েছেন।