কলকাতাঃ আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে প্রতিবাদে মুখরিত গোটা বাংলা। নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের পাশে আজ দাঁড়িয়েছে আপামর জনসাধারণ। সাধারণ মানুষ থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রী, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী থেকে শিল্পী- সবাইকে এখন এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করতে পথে নামতে দেখা যাচ্ছে। আর এই প্রতিবাদের রেশ ছুঁয়েছে লাল-হলুদের ফুটবলারদেরও। তাঁরাও নিজেদের মতো করে সরব হয়েছেন এই নিন্দনীয় ঘটনার বিরুদ্ধে। আর এবার এই নিঃস্বার্থ প্রতিবাদের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলের এই ফুটবলারকে। আর এই ঘটনায় ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে কলকাতার ফুটবল পাড়ায়।
রবিবার কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। যদিও শনিবার দুপুরে একটি ঘোষণা সামনে আসে। আর তাতে এই ম্যাচ বাতিলের কথা জানিয়ে দেওয়া হয় সমর্থকদের। যেহেতু দুই ক্লাবের সমর্থকরা একযোগে এদিন প্রতিবাদ জানানোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন, তাই হয়তো নিরাপত্তার কথা ভেবে ম্যাচ বাতিল করে দেওয়া হয়। আর এই ডার্বি বাতিলের পরেই ফেসবুকে নিজের প্রতিবাদী ভাবমূর্তিকে প্রকাশ করেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার সৌভিক চক্রবর্তী। আর এই প্রতিবাদী পোস্টের জেরে এবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলটিই উড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
প্রতিবাদী পোস্টে কি লিখেছিলেন সৌভিক?
শনিবার ডার্বি বাতিলের ঘোষণা হওয়ার পর নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লাল-হলুদ শিবিরের এই ফুটবলার একটি প্রতিবাদী পোস্ট করেন। এই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ঐতিহ্যের ডার্বি ম্যাচে খেলতে না পেরে খুবই দুঃখিত। আমরা যত ডার্বি খেলি বা দেখি না কেন, প্রতিটি খেলারই খেলার মানুষের কাছে আলাদা বিশেষত্ব থাকে। তবে আমি খুশি যে এই গুরুত্বপূর্ণ কারণে বাঙালি সমাজ এক হয়েছে। বাঙাল এবং ঘটি, দুই পক্ষই তাদের বোনের জন্য একসাথে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই, একজন সন্তান হিসেবে, কোনো মায়ের কোল খালি না থাকুক। তাই ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত, যত কঠিনই বাধা আসুক, আমরা থামব না।’ এই লেখার শেষে তিনি হ্যাজট্যাগ ‘আরজি কর’ এবং ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লেখেন।
প্রতিবাদের জেরে উড়ে গেল সৌভিকের প্রোফাইল
নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেল থেকে গতকালকেই এই পোস্টটি শেয়ার ককরেন সৌভিক। মুহূর্তে এই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়। লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার বাড়তে থাকে মিনিটে মিনিটে। তবে কয়েকঘন্টা যেতে না যেতেই সৌভিকের প্রোফাইল ফেসবুক থেকে আচমকা ডিলিট হয়ে যায়। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় তার ভক্তদের মধ্যে। অনেকেই এখওনে বাক স্বাধীনতা হননের অভিযোগ তুলেছেন, অনেকেই দায়ী করছেন প্রশাসনকে। তবে এই প্রোফাইল উড়ে যাওয়ার আসন কারণ এখনও অজানাই রয়ে গেছে।