নয়া দিল্লিঃ স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত প্রতিবেশী দেশ হিসেবে মলদ্বীলের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আদানপ্রদান চালু ছিল। এমনকি মলদ্বীপের পর্যটনের ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা পালন করে এসেছে ভারতের পর্যটকরা। এছাড়াও সামরিক সহযোগিতাতেও ভারত-মলদ্বীপের মধ্যে ভালো কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল। তবে কয়েকমাস আগেই এই দুই দেশের সম্পর্ক কিছুটা ‘রং-চটা’ হয়ে যায়। প্রতিবেশী দেশের দুই সাংসদের পোস্টকে ঘিরে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয় দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে। তারপরেই মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দিতে শুরু করেন ভারতীয়রা। এমনকি ভারতের বেশ কিছু পর্যটন সংস্থাও এই ‘বয়কট মলদ্বীপ’ ট্রেন্ডকে অনুসরণ করতে শুরু করে।
তবে তলানিতে যাওয়া এই সম্পর্ককে আবার ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে এই দ্বীপ রাষ্ট্র। আর তাতেই উন্নতি হয় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক। কারণ ছোট্ট এই দেশের জন্য সাহায্যের দরজা কোনদিনই বন্ধ করেনি তাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত। সম্প্রতি, ভারতের ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামির। সেখানে তাঁর মুখে ভারতের ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায়। তারপর আবারও ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হল মলদ্বীপ।
ভারতের প্রশংসায় কি বলেছেন মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী?
ভারতের স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে যোগদান করে মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামির বলেন যে বর্তমানে ভারত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ গণতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এবং ভারতের এই উন্নতিকে তিনি অন্যান্য দেশের কাছে অনুপ্রেরণার স্বরূপ হিসেবেও ব্যাখ্যা করেন। এছাড়াও দুই দেশের জনগণের মধ্যে ফের সুসম্পর্ক স্থাপনের আহবান করতেও শোনা যায় দ্বীপ রাষ্ট্রের মন্ত্রীকে। তিনি তাঁর বক্তব্যে যোগ করেন, “দুই দেশের অংশীদারিত্ব জনগণের মধ্যে নিহিত রয়েছে এবং এটি আমাদের মধ্যে সক্রিয় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করে তুলবে।”
জয়শঙ্করের মলদ্বীপ সফরের প্রভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কে উন্নতি
মূলত, চীন-পন্থী মইজ্জু মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই ভারতের সঙ্গে সেই দেশের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। তবে এই সম্পর্কের উন্নতি হয় তখন থেকে যখন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তিনদিনের সফরে মলদ্বীপ গিয়েছিলেন। আগস্টের শুরুতেই তাঁর এই সফরে তিনি মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট সহ বিভিন্ন মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত করার বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপর ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক কিছুটা অক্সিজেন পায়, যার প্রতিফলন দেখা যায় মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরকালীন বক্তব্যে।