কলকাতাঃ আরজি কর মেডিকেল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে আজও আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সাধারণ মানুষ। রবিবার সন্ধ্যে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়, এমনকি রাজ্যের বাইরে মুম্বই ও ব্যাঙ্গালোরে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। এখানেই থেমে নেই, তিলোত্তমার জন্য বিচার চাইতে বিদেশ থেকেও মানুষ আওয়াজ তুলছেন। সবার একটাই দাবি, দোষীরা যেন তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার হয় এবং আদালতে বিচারের পর কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি পায়। ইতিমধ্যে এই মামলার তদন্তভার রাজ্য পুলিশের হাতে থেকে গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু সিবিআই তদন্ত শুরু করার পর থেকে ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও আর কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
ইতিমধ্যে, এই ঘটনার জন্য আওয়াজ তুলেছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষজন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গায়ক-গায়িকা, অভিনেতা-অভিনেত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ক্রীড়াবিদ সকলেই নির্যাতিতার জন্য ন্যায়বিচার চাইছেন। আর এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল ভারতের প্রাক্তন স্পিনার তথা আম আদমি পার্টির সাংসদ হরভজন সিং। সম্প্রতি, এই মর্মে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপালকে খোলা চিঠি লিখে বিচারের আর্জি জানিয়েছেন। এমনকি এই ঘটনার নিন্দাও করেছেন ভারতের এই তারকা ক্রিকেটার।
এই ঘটনা প্রত্যেক নারীর সম্মান ও সুরক্ষায় আঘাত করেছে: হরভজন
সম্প্রতি, হরভজন সিংয়ের চিঠি এসে পৌঁছেছে রাজভবন ও নবান্নে। সেই চিঠিতে এই ঘটনার ভয়াবহতাকে তিনি উল্লেখ করেছেন। চিঠিতে হরভজন লিখেছেন, ‘অবর্ণনীয় অত্যাচার, যা আমাদের সকলের অন্তরাত্মাকে নাড়িয়ে দিয়েছে, এটা শুধু কোনও একজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনই নয়, বরং আমাদের সমাজের প্রত্যেক নারীর সম্মান ও সুরক্ষায় আঘাত। এটা সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা সমস্য়ারই প্রতিফলন। একইসঙ্গে পরিবর্তন ও প্রশাসনের পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তাকেও মনে করিয়ে দিয়েছে।’ পাশাপাশি, তিনি ঘটনার জন্য প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েছেন।
With deep anguish over delay in justice to the Kolkata rape and murder victim, the incident which had shaken the conscience of all of us, I have penned a heartfelt plea to the Hon’ble Chief Minister of West Bengal , Ms. @MamataOfficial Ji and Hon’ble @BengalGovernor urging them… pic.twitter.com/XU9SuYFhbY
— Harbhajan Turbanator (@harbhajan_singh) August 18, 2024
সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিলেন হরভজন
এই খোলা চিঠিতে ভারতের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার লিখেছেন যে কি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে হাসপাতালে কাজ করতে হয় চিকিৎসকদের। তার মধ্যে এমন ঘটনাকে তিনি মেনে নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। চিঠিতে প্রশ্ন ছুঁড়ে হরভজন লেখেন, ‘চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এমনিই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে কাজ করেন। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে, কীভাবে তারা নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পূরণ করবেন যেখানে তাদেরই নিরাপত্তার গ্যারান্টি নেই?’ এছাড়াও সরকারের উদ্দেশ্যে তাঁর অনুরোধ, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের ঘটনা সংবাদপত্র ও টেলিভশন চ্যানেলে সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।’