‘তড়িঘড়ি মেয়েকে আগে দাহ করে পুলিশ!’ আরজি কর কাণ্ডে তিলোত্তমার বাবার বয়ানে নয়া মোড়

Published on:

কলকাতাঃ আরজি কর নিয়ে দিন দিন উত্তাল হচ্ছে গোটা দেশ। রবিবার ডার্বি বাতিল হলেও কলকাতার ফুটবল সমর্থকরা এসে একত্রে বিক্ষোভ দেখান। সবার মুখে একটাই দাবি, তিলোত্তমার জন্য ন্যায়বিচার চাই। ইতিমধ্যে জোরকদমে চলছে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত। পুলিশের তদন্তে অসন্তোষ প্ৰকাশ করে আদালত কয়েকদিন আগেই তদন্তভার তুলে দিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। তারপর থেকেই আরজি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তলব করে হয়েছে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই ক’দিনের তদন্তে উঠে এসেছে অনেক অবাক করার মতো তথ্য।

WhatsApp Community Join Now

তবে এবার এই ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন নির্যাতিতা তরুণীর বাবা। শুরুর থেকেই এই ঘটনায় পুলিশের তদন্তের উপর অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষকদের আড়াল করার অভিযোগও সামনে এসেছিল। আর এবার নির্যাতিতার বাবা তাঁর মেয়ের মৃতদেহ সৎকারের বিষয়টি নিয়ে পুলিশের উপর বড় অভিযোগ আনলেন। তিনি স্পষ্ট বললেন যে প্রমান লোপাটের জন্য তড়িঘড়ি মৃতদেহ দাহ করা হয়েছে। আর এই অভিযোগ সামনে আসতেই ফের নতুন মোড় নিতে পারে এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া।

তিনটি মৃতদেহের মধ্যে নির্যাতিতার মৃতদেহ আগে দাহ করা হয়েছিল

রবিবার মৃত চিকিৎসক তরুণীর বাবা সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগ করেন যে যেদিন মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিন সেখানে তিনটি মৃতদেহ ছিল। তবে তাঁর মেয়ের মৃতদেহ সবার আগে দাহ করা হয় বলে দাবি করেন তিনি। তিনি এও বলেন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় তিনি মোটেও সন্তুষ্ট নন। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী নিজে ন্যায়বিচারের কথা বললেও যেসব সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছেন, তাদের জেলে ভরার চেষ্টা করছে প্রশাসন। সেই কারণে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ নিতে অস্বীকার করেছেন বলে জানান নির্যাতিতার বাবা।

সিবিআইয়ের তদন্তের গতি নিয়ে সন্দেহ তিলোত্তমার বাবার

তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর তাঁর শরীরে যেসব ক্ষতচিহ্ন ছিল, তা দেখার পরেও তদন্তের গতি নেই বলে অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসকের বাবা। এই মর্মে গোটা ডিপার্টমেন্টের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “যে তদন্ত করা হচ্ছে, তাতে কোনও ফলাফল আসেনি। দেখা যাক কী হয়। মেয়ের ডিপার্টমেন্ট থেকে বা কলেজ থেকেও সেভাবে কেউ আমাদের সহযোগিতা করেনি। আমার মনে হয় পুরো ডিপার্টমেন্টই এই ঘটনায় জড়িত।” একইসঙ্গে তিনি এবার মেয়ের জন্য জোর গলায় ন্যায়বিচার চাইলেন রবিবার।

সঙ্গে থাকুন ➥
X