দিন দিন ‘স্লো’ হচ্ছে ইন্টারনেট, সিঁদুরে মেঘ দেখে পাকিস্তান ছাড়ল বড় বড় বিদেশি কোম্পানি

Published on:

নয়া দিল্লিঃ আজকালকার দিনে ইন্টারনেট কমবেশি সকলের জন্য ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেকোনও কাজে এখন ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়ে। তাই ইন্টারনেট স্পিড কমে গেলে কিংবা ইন্টারনেট পরিষেবা খারাপ হলে সমস্যায় পড়তে হয় সব স্তরের মানুষজনকে। আর এই সমস্যায় এখন জর্জরিত ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান। সেদেশের প্রায় সব প্রদেশে এখন ইন্টারনেট অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে। সেই কারণে, সেখানের মানুষজন যেমন ভুগছেন, তেমনভাবেই বেশ কিছু আইটি ও টেলিকম কোম্পানিকেও এর মাশুল গুনতে হচ্ছে নিত্যদিন। আর সেই কারণে এবার পাকিস্তান ছাড়ার পরিকল্পনা করছে অনেক বিদেশি কোম্পানি।

আসলে পাকিস্তান সরকার আরও অন্যান্য দেশের মতো ইন্টারনেট ফায়ার-ওয়াল ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। এই জাতীয় ফায়ারওয়াল ব্যবহার শুরু হয়েছে জুলাই মাসে। সেই মাসে প্রথম ট্রায়াল হয়। আর এই আগস্ট মাসে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ট্রায়াল। যেকোনও ধরণের ইন্টারনেট পোস্ট, যেগুলি দেশের সুরক্ষাকে নড়বড়ে করে তুলতে পারে এবং দেশবাসীর মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে পারে, সেরকম ধরণের কার্যকলাপ রুখতে এই ফায়ারওয়াল ব্যবহার শুরু করেছে পাকিস্তান সরকার। তবে এর প্রভাব মারাত্মকভাবে সে দেশের অর্থনীতির উপর পড়তে শুরু করেছে ইতিমধ্যে।

বিপদের মুখে পাকিস্তানের টেলিকম কোম্পানিগুলি

পাকিস্তানের ইন্টারনেট প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন তরফে সরকারের এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, সরকার সুরক্ষা ও নজরদারির নামে ইন্টারনেট স্পিড কমিয়ে দিয়ে সবাইকে সমস্যায় ফেলছে। তাদের মতে, এই পরিস্থিতি তাদের গ্রাহকদের জন্য খুবই নৈরাশ্যজনক। এছাড়াও টেলিকম সংস্থাগুলি এও অভিযোগ করছে যে, এই ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে অনেক গ্রাহক ইন্টারনেটে সার্ভিস নেওয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন। এমনকি সরকারকে তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে যে এই অবস্থা যদি চলতে থাকে, তাহলে সেটা পাকিস্তানের অর্থনীতির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।

ধীরগতির ইন্টারনেটের জন্য বিদেশি কোম্পানিগুলি পাকিস্তান ছাড়ছে

পাকিস্তানে ইন্টারনেট স্পিড কমে যাওয়ার কারণে অনেক বিদেশি কোম্পানি পাকিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি Uber, Pfizer, Shell, Eli Elly, ফ্রান্সের কোম্পানি Sanofi, নরওয়ের কোম্পানি Telenor ইত্যাদি তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে। সম্প্রতি, এই খবরটি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান বিজনেস কাউন্সিল। তারা এও জানিয়েছে যে এই অবস্থা চলতে থাকলে পাকিস্তানের অর্থনীতি আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়বে।

WhatsApp Community Join Now
সঙ্গে থাকুন ➥
X