কলকাতাঃ আরজি কর হাসপাতালকাণ্ডে এবার নয়া মোড়। এবার এই ঘটনায় গঠিত হল সিট। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের পর জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। চিকিৎসক থেকে শুরু করে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআইয়ের অধিকারিকরা। এবার এই সন্দীপ ঘোষই কিনা বিরাট যাঁতাকলে পড়ল।
গঠিত হল সিট
এমনিতেই আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ফুঁসছে বাংলা সহ সমগ্র দেশ। শুধু তাই নয়, এই বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়েছে বিদেশের মাটিতেও। যাইহোক, এবার এই ‘অভিশপ্ত’ আরজি কর হাসপাতালে উঠল আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ। আর এই ঘটনার মূলে পৌঁছাতে এবার সিট গঠন করা হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে।
বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের
এই মর্মে নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আর এই বিজ্ঞপ্তি দেখেই রীতিমতো সকলের চোখ কপালে উঠে গিয়েছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সাল থেকে সমস্ত আর্থিক বেনিয়মের তদন্ত করবে সিট। আইজি পদমর্যাদার আইপিএসের নেতৃত্বে সিট গঠন করেছে। অভিযোগ, ডা. সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে হাসপাতালের খরচ নিয়ে গোলমাল রয়েছে। আর এই বিষয়টিই খতিয়ে দেখে রাজ্য সরকারকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেবে সিট।
জানা গিয়েছে, সিটের মাথায় থাকছেন আই জি পদমর্যাদার আইপিএস আধিকারিক প্রণব কুমার। বাকি সদস্যরা হলেন মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি ওয়াকার রেজা, ডিআইজি সিআইডি সোমা মিত্র দাস এবং কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।
প্রকাশ্যে আরজি কর-এর অন্য কেলেঙ্কারি
চিকিৎসক খুনে যখন বাংলা উত্তাল তখন এবার প্রকাশ্যে আরজি কর-এর অন্য কেলেঙ্কারি। ফিরে যেতে হবে ২০২২ সালে। জানা যায়, সেইসময় হাসপাতালে স্যালাইনের তীব্র আকাল দেখা দিয়েছিল। স্যালাইন সংকট এতটাই তীব্র যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস, সাগর দত্ত থেকে স্যালাইন জোগাড় করে রোগী পরিষেবা বজায় রাখতে হয়েছিল সেইসময়। অভিযোগ, যে সংস্থা স্যালাইন সরবরাহ করত, তাদের বিপুল অর্থ বকেয়া ছিল। বেশ কয়েকবার তা মেটানোর জন্য চাপ দিয়েও বকেয়া মেলেনি। আর তাই তারা স্যালাইন সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। সেইসময় আর জি কর হাসপাতালের ফিনান্স থেকে কোনও নাকি হেলদোলই দেখা যায়নি। নেওয়া হয়নি কোনও পদক্ষেপও। এরপর ২০২৩ সালেও এই হাসপাতালে র্যাগিং-এর অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনায় কাঠগড়ায় ছিলেন এই সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু সেই সময়ে কিছু প্রমাণ হয়নি। এক কথায় সন্দীপ ঘোষ যেখানে, বিতর্কও যেন সেখানে।