কলকাতাঃ গত ১০ দিন ধরে কলকাতায় চলছে আন্দোলন। আরজি কর মেডিকেল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে পথে নেমে প্রতিবাদ করছেন মানুষজন। এমনকি এই প্রতিবাদের রেশ পৌঁছে গিয়েছিল কলকাতার ফুটবল সমর্থকদের মধ্যেও। সেই কারণে, গত রবিবার ডুরান্ড কাপের ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের ম্যাচেও এই ঘটনার বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তোলার কর্মসূচি নিয়েছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। তবে তার আগেই ম্যাচটি বাতিল করে দেয় কর্তৃপক্ষ। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের দাবি ছিল যে ম্যাচে স্টেডিয়ামে দুষ্কৃতীদের ঢুকে পড়ার আগাম খবর পেয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
তবে ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্তে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন কলকাতার ফুটবল সমর্থকরা। সেই কারণে বাতিল হওয়া ডার্বি-র দিনেই একযোগে প্রতিবাড শুরু করেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মোহামেডান- এই তিনটি ক্লাবের সমর্থকরা। একদিকে যেমন তরুণী চিকিৎসকের জন্য বিচার চাইছিলেন তারা, তেমনই অন্যদিকে ম্যাচ বাতিলের বিরোধিতাও করছিলেন। তবে, এবার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য রয়েছে সুখবর। কারণ, এবার ডুরান্ড কাপের বাকি ম্যাচ নিয়ে হয়ে গেল বড় ঘোষণা।
ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হবে কলকাতাতেই
রবিবারের প্রতিবাদ মিছিল থেকে নিরাপত্তার কাজে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের উপর একটা চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়। যদিও তখন এমনটাই বলা হচ্ছিল যে এই টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচ অন্য শহরে হতে পারে। তবে শেষমেষ, সিদ্ধান্ত বদল হল। বুধবার ঘোষণা করা হল যে ডুরান্ড কাপের বাকি ম্যাচ হবে কলকাতাতেই। অর্থাৎ, এই টুর্নামেন্টের একজোড়া সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচটি কলকাতার মাঠেই খেলা হবে। আর এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ যুবভারতী স্টেডিয়ামে করার অনুমতি দিল কলকাতা পুলিশ।
তিন দলের বৈঠকের চাপে নেওয়া হল সিদ্ধান্ত
ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ কলকাতার মাঠে করার জন্য একটি বৈঠকে বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের শীর্ষ কর্তারা। বৈঠকে হাজির ছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার, সচিব রূপক সাহা এবং মহমেডান সচিব ইস্তিয়াক আহমেদ। মঙ্গলবার এই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, “কলকাতা খেলার শহর। এখান থেকে যাতে ডুরান্ডের খেলা সরিয়ে না দেওয়া হয় সে জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ডুরান্ড কমিটি জানাবেন।” আর বুধবারই এই ঘোষণা করল কর্তৃপক্ষ, যা শহরের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য সুখবর।