ছেলেকে খুনের হুমকি দিয়ে মাকে ধর্ষণ, গোপনাঙ্গে বন্দুক ঢুকিয়ে গৃহবধূকে নির্যাতন তৃণমূল নেতার

Published on:

bolpur rape tmc leader firoz

বোলপুরঃ আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় অশান্ত সমগ্র দেশ। বাংলার ‘নির্ভয়া’-র ন্যায় বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন সমাজের সর্ব স্তরের মানুষ। তবে এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে ভয়ানক অভিযোগ উঠল। এবার এক মহিলার গোপনাঙ্গে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রভাবশালী শাসক নেতার বিরুদ্ধে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। দফায় দফায় এরকম ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বাংলায় আর মহিলারা সুরক্ষিত তো?

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে তাঁরই ছেলেরে সামনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি নাকি ঘটেছে গত শনিবার। তবে এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে বুধবার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর থানার অন্তর্গত করিমপুর গ্রামে। এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার পর অপমানে আত্মঘাতী হওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন ওই গৃহবধূ বলে খবর। ঘটনায় অভিযোগের তীর স্থানীয় তৃণমূল নেতা ফিরোজের বিরুদ্ধে।

গোপনাঙ্গে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে ধর্ষণ!

গৃহবধূর গোপনাঙ্গে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফিরোজের বিরুদ্ধে। শনিবার বাড়ির কলতলা থেকে মাথায় বন্দুক ধরে গৃবধূকে গোয়াল ঘরে নিয়ে যায় ফিরোজ। প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সেখানে তাঁর হাত বেঁধে ফেলে সে। এর পর বধূকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। ঘটনা প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন নির্যাতিতার স্বামী। তিনি জানান, ‘আমি ভিনরাজ্যে কাজ করি। আমার স্ত্রী ও ৪ বছরের পুত্রসন্তান বাড়িতে থাকত। মাঝে মাঝে পাশের গ্রামে বাপের বাড়িতে যেতেন স্ত্রী। তখন তাঁকে উত্যক্ত করত ফিরোজ নামে এক তৃণমূল নেতা। তাঁকে লাগাতার কুপ্রস্তাব দিত ফিরোজ। এমনকি মাথায় বন্দুক ধরে তুলে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেছিল সে। তাতেও সফল না হওয়ায় ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিল ফিরোজ।’

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

কী ঘটেছিল?

শনিবার বাড়ির কলতলা থেকে মাথায় বন্দুক ধরে গৃবধূকে গোয়াল ঘরে নিয়ে যায় ফিরোজ। প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সেখানে তাঁর হাত বেঁধে ফেলে সে। এমনকি গৃহবধূর নগ্ন ছবিও তুলতে শুরু করে অভিযুক্ত। হুমকি দিয়ে বলে, ‘যখন ডাকব তখন আসতে হবে। নইলে ছবি ভাইরাল করে দেব।’ ঘটনার সময় নাকি ওই মহিলার ৪ বছরের সন্তানও সেখানে আসে। এই ঘটনার পরেই থানায় গিয়ে ওই শাসক নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূ। তবে অভিমানে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন বধূ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে খবর।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group