ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই গণঅভ্যুত্থান দেখেছে বাংলাদেশ। তার প্রভাব এবার পাকিস্তানেও দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি, ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই দলের সমর্থকরা ইসলামাবাদে একটি বড় অভিযান পরিচালনা করেছে। এই অভিযানটি মূলত পাকিস্তানের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর উদ্দেশ্যে সংগঠিত হয়েছিল। ইমরান খান, যিনি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাঁর নেতৃত্বে দলটি বেশ কিছুদিন ধরেই পাকিস্তানে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল। আর এবার সেই দাবি অভিযানের রূপ নিয়ে আছড়ে পড়ল পাকিস্তানের রাস্তায়।
ইমরান খানের সমর্থকদের এই অভিযানটি শুরু হয়েছিল পিটিআই-এর শীর্ষ নেতৃত্বের আহ্বানে। শুরুতে দলের সমর্থকরা বড় সংখ্যায় বিভিন্ন শহর থেকে ইসলামাবাদের দিকে রওনা দেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য চাপ দেওয়া। সমর্থকদের অভিযোগ, বর্তমান সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে নয়, বরং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। ইসলামাবাদ অভিযানের সময় সমর্থকরা বিভিন্ন প্রতিবাদ মিছিল, সমাবেশ ও বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
হিংসা রুখতে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ ব্যবস্থা
যদিও পাকিস্তান সরকার এই অভিযানের আগে থেকেই সতর্ক ছিল। তাই নিরাপত্তা বাহিনী আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। তবুও বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ও সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে। কারণ, ইসলামাবাদের প্রধান রাস্তাগুলিতে পিটিআই সমর্থকরা ব্যারিকেড গড়ে তোলার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। কিছু সমর্থককে আটক করা হয় বলেও খবর পাওয়া গেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে। সেই সঙ্গে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয় গোটা এলাকায়।
সমর্থকদের দাবি, এটা গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াই
ইমরান খান সমর্থকদের দাবি, এই অভিযান তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রচেষ্টার অংশ, যেখানে তারা ন্যায়সঙ্গতভাবে তাদের ভোটাধিকার নিয়ে আলোচনা করতে চায়। তবে সরকার দাবি করেছে, পিটিআই-এর এই অভিযান আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং তারা কোনভাবেই অস্থিরতা মেনে নেবে না। তবে এখন যদি প্রশাসন বিক্ষোভকারীদের উপর কড়া কোনও পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এই আন্দোলন বৃহত্তর রূপ নিতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।