ভারতীয় রেলকে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। এমনিতে প্রতিদিন এই রেল ব্যবস্থার মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষ এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছে। ভারতের রেল নেটওয়ার্ক বিশ্বের মধ্যে চতুর্থতম। ফলে বুঝতেই পারছেন প্রতিদিন কত মানুষ এই রেল ব্যবস্থার ওপর ভরসা করে যে যার গন্তব্যে ছুটে চলেছেন। আজ থেকে ৫ বছর আগের রেল ব্যবস্থার সঙ্গে ২০২৪ সালের রেলে ভ্রমণের তফাৎ আকাশ পাতাল বুঝতে পারবেন। এমন কোনও রাজ্য নেই যেখানে ট্রেন চলাচল করে না। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন দেশের সবচেয়ে ছোট বা লম্বা ট্রেন রুট কোনটা? জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
দেশের সবচেয়ে ছোট ট্রেন রুট
আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন দেশের মধ্যে কোনটি সবথেকে ছোট ট্রেন রুট। আসলে দেশের সবচেয়ে ছোট ট্রেন রুট মহারাষ্ট্রে অবস্থিত। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। সবথেকে ছোট ট্রেন রুট হল নাগপুর থেকে আজনির অবধি, দূরত্ব মাত্র ৩ কিলোমিটার। একে ভারতের সবচেয়ে ছোট ট্রেন রুট বলা হয়। ট্রেনে নাগপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আজনি রেলওয়ে স্টেশন যেতে সময় লাগে মাত্র ৯ মিনিট। এই রুটে সারাদিনে মাত্র ৮টি ট্রেন চলাচল করে।
কত টাকা খরচ হয়?
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে দেশের সবথেকে এই ছোট ট্রেন রুটে ভাড়া কত? তাহলে জানিয়ে রাখি, নাগপুর থেকে আজনি পর্যন্ত ৯ মিনিটের ট্রেন যাত্রার ভাড়া কিন্তু বেশ ব্যয়বহুল। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই রুটে চলাচলকারী ট্রেনের জেনারেল কামরার টিকিটের দাম যেখানে মাত্র ৬০ টাকা, সেখানে স্লিপার ক্লাসের টিকিটের দাম ১৪৫-১৭৫ টাকা। এছাড়া এসি-৩ টিয়ারের টিকিটের দাম ৫৫৫ টাকা, এসি-২ টিয়ারের টিকিটের দাম ৭৬০ টাকা এবং এসি-১ টিয়ারের টিকিটের দাম ১২৫৫ টাকা।
লম্বা ট্রেন রুট কোনটা?
এবার আসা যাক দেশের সবথেকে লম্বা ট্রেন রুট কোনটা সে সম্পর্কে। দেশের দীর্ঘতম রেলপথ কন্যাকুমারী থেকে ডিব্রুগড় পর্যন্ত। স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীতে কন্যাকুমারী থেকে ডিব্রুগড় পর্যন্ত বিবেক এক্সপ্রেস চালানো হয়েছিল। এই ট্রেনটি ৮০ ঘন্টা অর্থাৎ ৪ দিনে ৪৩০০ কিলোমিটার যাত্রা শেষ করে। বিবেক এক্সপ্রেস ৯ টি রাজ্যের মধ্য দিয়ে যায়। যাত্রাপথে মোট ৫৭টি স্টেশনে থেমেছিল।