নয়া দিল্লিঃ আরজি কর-কাণ্ডে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে দেশ। এদিকে এই মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টে যা ঘটল, তা দেখে তাজ্জব সকলে। আসলে এখন শিরোনামে উঠে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল। নতুন করার তিনি এমন এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন জা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতিও।
আইনজীবীর কাণ্ড কারখানায় তাজ্জব সকলে
আরাজি কর-কাণ্ডে শুনানি চলাকালীন হাসতে দেখা যায় কবিল সিব্বলকে। আর এই ঘটনার ভিডিও এখন সামাজিক মাধ্যমে বিদ্যুতের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যা মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টে পরিবেশ অত্যন্ত তপ্ত ছিল। এদিকে সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
‘১টা মেয়ে মারা গিয়েছে, হাসবেন না’
আসলে তুষার মেহতার এক যুক্তিতে হেসে ফেলেছিলেন কপিল সিব্বল। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সলিসিটর জেনারেল। কপিল সিব্বলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তুষার মেহতা বলেন, ” একটা মেয়ে মারা গিয়েছে, অন্তত হাসবেন না।” মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকার, রাজ্য পুলিশ এবং হাসপাতাল প্রশাসনকে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন।রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল হাসতে হাসতে তুষার মেহতা এফআইআর নথিভুক্ত করার সময় পুলিশের গাফিলতির কথা তুলে ধরেন।
‘Somebody has lost her life. Don’t at least laugh’, SG Tushar Mehta slams Kapil Sibal during the #RGKAR hearing.
Must Sibal always sport a smirk which invariably reminds one of a hyena-jackal-brush-hog combine: pic.twitter.com/iKDFkPopHy
— Dr. Anirban Ganguly (অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়) (@anirbanganguly) August 22, 2024
তুষার মেহতা কপিল সিব্বলকে বলেন, ‘একটা মেয়ের প্রাণ হারিয়েছেন, অন্তত হাসবেন না।’ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে মামলার স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে এই মামলার শুনানি চলছিল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে মামলার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে এই মামলার শুনানি চলছিল। সিবিআই রিপোর্টে জানিয়েছে, জায়গা বদল করে মৃতের বাবা-মাকে ভুল বোঝানো হয়েছে। নিহতের পরিবারকে জানানো হয়, তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।