লখনউঃ হাতে আর মাত্র ৮ দিন রয়েছে, এরই মধ্যে যদি হিসেব না দেখান তাহলে বেতন আটকে যেতে পারে লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মীর। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আর এই নির্দেশিকা দেখে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে সরকারি কর্মীদের বলে মনে হচ্ছে। আপনিও কি সরকারি চাকরি করেন? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
মিলবে না বেতন!
একটা ভুল হয়তো সকলের জন্য বড় পরিণতি হয়ত ডেকে আনতে পারে। আগামী আট দিনের মধ্যে সম্পত্তির হিসাব না দিলে বেতন বন্ধ হতে পারে সরকারি কর্মীদের বলে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই স্বাভাবিকভাবে সরকারের এহেন নির্দেশিকায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে কয়েক লক্ষ সরকারি কর্মচারিদের। প্রশ্ন উঠছে আচমকা সরকার কেন এরকম সিদ্ধান্ত নিল? রাজ্য প্রশাসনে স্বচ্ছতার খাতিরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির খতিয়ান সরকারকে দিতে হবে সরকারি কর্মীদের। এই সময়সীমার মধ্যে যদি কাজ না হয় তাহলে বেতন নাও পেতে পারেন সরকারি কর্মীরা।
দিতে হবে সম্পত্তির হিসেব!
যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সর্বশেষ নির্দেশ না মানলে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের প্রায় ১৩ লক্ষ সরকারি কর্মচারী তাদের মাসিক বেতন, পদোন্নতি এবং অন্যান্য সুবিধা হারাতে পারেন। আসলে সরকারের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেটা অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের ৩১ আগস্টের মধ্যে ‘মানব সম্পদ’ পোর্টালে তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হিসেব দিতে হবে। আদেশ অমান্য করলে তাদের এই মাসের বেতন আটকে থাকবে এবং অনেকের পদোন্নতিতে সম্ভাব্য প্রভাব ফেলবে। সব শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মোদী না বিরোধী, আজ লোকসভা নির্বাচন হলে কেন্দ্রে ক্ষমতায় কে? সমীক্ষায় স্পষ্ট জনতার মুড
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের ১৭,৮৮,৪২৯ জন সরকারি কর্মচারীর মধ্যে মাত্র ২৬ শতাংশ এখনও পর্যন্ত মানব সম্পদ পোর্টালে তাদের সম্পত্তির বিবরণ আপডেট করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বাকি ১৩ লক্ষেরও বেশি কর্মী এখনও সেই কাজ করেননি। আর যারা এখনও অবধি এই কাজ করেননি তাঁদের কপালে দুঃখ লেখা আছে।