কড়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্র সরকারের! নিষিদ্ধ ১৫৬ রকমের ওষুধ, তালিকায় অনেক পেনকিলার-অ্যান্টিবায়োটিক

Published on:

medicine

নয়া দিল্লিঃ যেকোনও রোগ নিরাময়ে ওষুধের দরকার পড়ে। তবে সেইসব ওষুধ পরীক্ষিত ও সরকার দ্বারা অনুমোদিত হতে হয়। তা না হলে রোগীর শরীরে অনেক ক্ষতি হতে পারে। ভারতে সম্প্রতি ১৫৬টি ককটেল ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে মূল কারণ হল জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা এবং ফার্মাসিউটিক্যালসের মান নিয়ন্ত্রণ। ককটেল ওষুধগুলি সাধারণত একাধিক সক্রিয় উপাদানের মিশ্রণ, যা কোনও নির্দিষ্ট রোগ বা শারীরিক সমস্যা নিরাময়ের জন্য তৈরি হয়। তবে, এমন অনেক ককটেল ওষুধ রয়েছে যা বিজ্ঞানসম্মতভাবে পরীক্ষিত নয় এবং যার প্রভাব সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য নেই।

WhatsApp Community Join Now

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের ওষুধের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল। বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, এই ধরনের ওষুধ ব্যবহারের ফলে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের অবস্থার অবনতি ঘটেছে এবং কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে, সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।

কোন কোন ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে?

সূত্রের খবর, অনেক পেনকিলার ও অ্যান্টিবায়োটিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনেক নিষিদ্ধ ওষুধ আবার এই দুইয়ের সংমিশ্রণ ছিল। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মেফেনামিক অ্যাসিড + প্যারাসিটামল ইনজেকশন, লিভোসেট্রিজাইন + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল + প্যারাসিটামল, ক্যামিলোফিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড ২৫ এমজি + প্যারাসিটামল ৩০০ এমজি, প্যারাসিটামল + ক্লোরফেনির্মাইন মালেট + ফেনিল প্রোপানোলামিন সহ অনেক ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর নিমেসুলাইড+ প্যারাসিটামল ডিসপারসিবেল ট্যাবলেট, অ্যামোক্সিসিলিন+ব্রোমহেক্সিনের মতো ককটেল ওষুধকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

ক্ষতিকারক ওষুধ নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত সরকারের

জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ করা ওষুধগুলির মধ্যে বেশিরভাগই অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাজারে পাওয়া যাচ্ছিল এবং বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছিল। তবে, এই ওষুধগুলি ব্যবহার করার ফলে কোনো দীর্ঘমেয়াদী উপকার পাওয়া যায়নি, বরং সমস্যা আরো বেড়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলিকে তাদের ওষুধের গুণমান এবং সুরক্ষা নিয়ে আরো যত্নবান হতে হবে। নতুন ওষুধ বাজারজাত করার আগে আরও কঠোর পরীক্ষা এবং মান নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হবে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X