কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে ৩১ বছর বয়সী কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে উত্তাল গোটা দেশ। শুরুতে ওই নির্যাতিতা চিকিৎসকের বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে পরে এই নৃশংস ঘটনার বিচার চেয়ে পথে নামতে শুরু করেন সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই। এই তদন্তভার CBI-এর হাতে তুলে দেওয়া হলেও একজন ছাড়া বাকি অভিযুক্তরা এখনও অধরা। ইতিমধ্যে, সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার তদন্তে রাজ্যের প্রশাসনকে ভর্ৎসনা করেছে। আর এসবের মাঝেই অসম রাজ্যে ঘটে গেছে আর এক নৃশংস ঘটনা।
অসমে এবার গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক ১৪ বছর বয়সী নাবালিকা। রাতের অন্ধকারে তাঁকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে ৩ জন মিলে। তারপর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁর ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসে। আর এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে অসম রাজ্যের ছাত্রসমাজ। তড়িঘড়ি তদন্ত করে পুলিশ ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেও পুলিশি হেফাজত থেকে অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করার সময় তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
গণধর্ষণের শিকার অসমের নাবালিকা
ঘৃণ্য এই ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। অভিযোগ, অসমের নগাঁও জেলায় এক ১৪ বছরের নাবালিকা টিউশন পড়ে ফিরছিল। সেই সময় তাঁর উপর ৩ জন মিলে যৌন নির্যাতন চালায়। রাতের দিকে ওই নাবালিকাকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রাস্তার পাশ থেকে। এর পর ওই তরুণীকে ভর্তি করা হয় নগাঁও জেলার ধিং সরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন যে ঐ নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
পালাতে গিয়ে ধৃত মূল অভিযুক্তর মৃত্যু
ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিক্ষোভ শুরু করে অসমের ছাত্রসমাজ। এরপর তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় ঘটনার মূল অভিযুক্ত তাফুজল ইসলামকে। শনিবার রাতে তাকে নিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করতে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করে এবং পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে খবর।
অভিযুক্তর আচমকা মৃত্যুতে পুলিশের বয়ান
এই ঘটনার পর অসম পুলিশের এক শীর্ষ অধিকর্তা জানান, “রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর ভোরবেলায় আমরা ওকে ঘটনার পুনঃনির্মাণ জন্য নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমাদের এক কনস্টেবলের হাত থেকে হাতকড়া ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ও। সেটা করতে গিয়েই পুকুরে পড়ে যায়। আমাদের ওই কনস্টেবলও আহত হয়েছেন।” তবে এই পালানোর ঘটনার তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।