নয়া দিল্লিঃ ভারতে মোবাইলের জনপ্রিয়তা যখন বাড়তে শুরু করে, তখন থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি Samsung ভালো ব্যবসা করেছে। তবে তারপর থেকে অনেক সময় অনেকবার বিভিন্ন টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছে এই টেক কোম্পানি। কিন্তু তারপরেও চলতি বছরের শুরুতে ভারতে ভালো ব্যবসা করেছিল এই দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি। তবে ২০২৪ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের স্মার্টফোন মার্কেটে Samsung-এর অবদান উল্লেখযোগ্য হলেও সম্প্রতি, কোম্পানিকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে Samsung-এর ব্যবসায়।
২০২৪ সালের জুন ত্রৈমাসিকে Samsung বিক্রির পরিমাণের হিসেবে ভারতে শীর্ষ স্থান ধরে রাখলেও বাজারের শেয়ার ১৫.৭ শতাংশ থেকে কমে ১২.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। Samsung-এর প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের দিকে ক্রেতাদের ঝোঁক কমে যাওয়া এবং প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলির বাজার দখল বৃদ্ধি পাওয়া এই কোম্পানির বিক্রি কমার কারণগুলির মধ্যে অন্যতম। যদিও Samsung Galaxy S24 সিরিজের মোবাইলগুলি ভারতে ভালো বিক্রি হয়েছিল। তবে এই কোম্পানি মিডরেঞ্জ ও বাজেট সেগমেন্টে তাদের জায়গা হারিয়েছে। কিন্তু কেন? চলুন, এর কারণগুলি খুঁজে দেখা যাক।
বেশি সংখ্যায় প্রিমিয়াম মোবাইল লঞ্চ
ভারতীয় স্মার্টফোন বাজারে ক্রেতারা দিন দিন দামি প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের দিকে ঝুঁকছেন। এর ফলে Samsung-এর বাজার দখল দিন দিন কমে যাচ্ছে। যদিও Samsung প্রিমিয়াম সেগমেন্টে ভালো ব্যবসা করছে। এছাড়াও ব্যবসার পরিমাণের নিরিখেই শীর্ষে আছে তারা। তবে মার্কেট দখলের দিক থেকে তারা পিছিয়ে পড়েছে। এর ফলে Samsung-এর মিডরেঞ্জ ও বাজেট সেগমেন্টে বিক্রি অনেকাংশে কমে গেছে।
মোবাইলের বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি
Xiaomi এবং Vivo-এর মতো চিনা মোবাইল নির্মাতা কোম্পানিগুলি ২০২৪ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতে ভালো ব্যবসা করেছে। এই ত্রৈমাসিকে Xiaomi-র বিক্রি ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং Vivo শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। এদিকে Samsung-এর বাজার দখল ২০২৩ সালের একই সময় থেকে ১৫.৭ শতাংশ থেকে কমে ১২.৯ শতাংশেএসে দাঁড়িয়েছে।
মোবাইলের স্ট্র্যাটেজিক লঞ্চের খামতি
Samsung সাধারণত অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ফ্ল্যাগশিপ মডেলগুলি লঞ্চ করে। এর ফলে বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এইসব প্রিমিয়াম মোবাইল বিক্রি কিছুটা কমে যায়। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে Samsung-এর Galaxy S24 সিরিজের মোবাইলগুলি ভারতে ব্যাপকভাবে বিক্রি হয়েছিল। তবে তারপর থেকে আর নতুন কোনো মোবাইল লঞ্চ করেনি Samsung। এই কারণে এবছর তাদের বিক্রি কমেছে।