‘কারখানা হলেই ভালো হত’, ফুঁসছেন কৃষকরা! ফের বড়সড় আন্দোলন তৈরির পথে সিঙ্গুরে

Published on:

singur

কলকাতাঃ ফের একবার শিরোনামে সিঙ্গুর। একসময় এই সিঙ্গুর বাংলার ইতিহাসকেই যেন বদলে রেখে দিয়েছিল। এই সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনে যত কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। এই সেই সিঙ্গুর যেখানে জমি না মেলায় টাটা কারখানা গড়ে তুলতে পারেনি। এক কথায় এই সিঙ্গুর বহু সংগ্রামের সাক্ষী থেকেছে। এবারও কিন্তু তার ব্যতিক্রম ঘটল না। সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের স্মৃতি এখনও সকলের মধ্যে তাজা হয়ে রয়েছে। এই ঘটনার প্রায় ১৮ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু আবারও একটা জমি আন্দোলন হতে পারে তার খানিকটা আঁচ মিলতে শুরু করেছে যেন।

ফের সিঙ্গুরে জমি আন্দোলন!

প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ফের কি সিঙ্গুরে ১৮ বছর আগের স্মৃতি ফিরতে চলেছে? ‘সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুর্নব্যবহার কমিটি’ এবার সিঙ্গুরের জমি প্রসঙ্গে আসরে নেমেছে। এই কমিটির সদস্যরা বলতে শুরু করেছেন যে সিঙ্গুরের বেশিরভাগ জমি নাকি চাষযোগ্য করা হয়নি। ইতিমধ্যে অনেকে বলতেও শুরু করেছেন যে, ‘আমাদের সিদ্ধান্তটাই ভুল হয়েছে। এখন দেখছি কারখানা হলে ভালোই হত।’ ‘ রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে অনেকে বলতে শুরু করেছেন, ‘আপনি যদি শিল্প করেন করুন, না হলে জমি ঠিক করে দিন। না হলে আন্দোলনে নামতে হবে।’

আসরে ‘সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুর্নব্যবহার কমিটি’

সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুনর্ব্যবহার কমিটির সদস্য দুধকুমার ধাড়া বলেছেন, ‘আমরা তো দেখছি প্রায় ৭০০ একর মতো জমি প্রায় এখনও চাষযোগ্য না হওয়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমরা সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুনর্ব্যবহার কমিটি এলাকার চাষিদের নিয়ে এবং কিছু বিশিষ্ট মানুষকে নিয়ে তৈরি করেছি। আমরা চাষিদের দাবি দাওয়া সরকারের কাছে পৌঁছে দেব।’ এদিকে এক চাষি বলছেন, ‘আফসোস তো হবেই। কারখানা যদি হয় হোক, চাষযোগ্যও করে দিচ্ছে না। যে কোনও একটা তো করতেই হবেই। এভাবে জমি জায়গা তো ফেলে রাখলে হবে না। আমাদের কী করে চলবে?’ ২০০৬ সালে সিঙ্গুরে টাটার গাড়ি কারখানার জমি অধিগ্রহণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলা। সেইসময়ে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। এরপর ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করে। আর প্রায় ১০০০ একর জমি চাষযোগ্য করে তিন মাসের মধ্যে কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

কী বলছে সরকার?

ঘটনা প্রসঙ্গে এবার বড় দাবি করেছেন সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্নার। তাঁর বক্তব্য, ‘আন্দোলন করা তো মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। যে কেউ তা করতে পারে। তবে এই আন্দোলনের কতটা যৌক্তিকতা আছে, মানুষের স্বার্থ আছে সেটা দেখা দরকার। সিঙ্গুরের মানুষ এসব শুনবে না। কারণ ৯০ শতাংশ জমি চাষযোগ্য হয়ে গিয়েছে।’

WhatsApp Community Join Now
সঙ্গে থাকুন ➥
X