কলকাতাঃ বর্তমানে আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল হয়ে রয়েছে বাংলা তথা সমগ্র দেশ, বিদেশ। কলকাতা শহরের স্বনামধন্য আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মতো বীভৎস ঘটনায় রীতিমতো কেঁপে গিয়েছে সমগ্র দেশ। জায়গায় জায়গায় চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। এমনকি যতদিন না বাংলার নির্ভয়া ন্যায্য পাচ্ছেন ততদিন বিশেষ করে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে ফের একবার শহরের বুকে ঘটে গেল এক নক্ক্যারজনক ঘটনা। এবার এক নাবালিকার সঙ্গে যৌন নির্যাতনের অভিযোগকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠল শহর। শুধু তাই নয়, মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
নির্যাতনের শিকার নাবালিকা!
আরজি কর-এর ঘটনায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন সমাজের নানা স্তরের মানুষ। কবে ন্যায় বিচার মিলছে? সেই প্রশ্ন লাগাতার উঠে আসছে। এদিকে এতকিছুর ঘটনার মধ্যেও এক বছর ১০-এর নাবালিকার সঙ্গে যা ঘটল তা শুনে তাজ্জব সকলে/ ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরে। অভিযোগ, এক নাবালিকাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তবে কাহানি মে ট্যুইস্ট হ্যায়। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তকে ধরেও নিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পরেই পরিস্থিতি রীতিমতো হাতের বাইরে চলে যায়।
অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর!
অভিযুক্তর বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালান স্থানীয়রা বলে খবর। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বছর ১০-এর নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির পরিবার সূত্রে খবর, গত সোমবার অর্থাৎ জন্মাষ্টমীর দিন ঘটনাটি ঘটেছিল। সেদিন নাকি নির্যাতিতা নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে অভিযুক্ত। সেই নাবালিকাকে ‘ঠাকুর দেখাবেন’ বলে কথা দিয়েছিল অভিযুক্ত। সেই মতো বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সেই নাবালিকার সঙ্গে নাকি ঘটনাটি ঘটায় সেই ব্যক্তি। এরপরে বাড়ি ফিরে ঘটনার কথা জানায় নাবালিকা।
জানাজানি হতেই হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকজন। অভিযোগ পেয়ে বুধবার সকালে হরিদেবপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তকে ধরে নিয়ে যায়। বুধবার বিকেলেই নাকি অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হয় থানা থেকে। এরপরেই রেগে যান স্থানীয় মানুষজন। অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে ‘We Want Justice’ বলে স্লোগানও তোলেন সাধারণ মানুষ। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে। স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়তে হয় সাধারণ পুলিশকে। এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।