কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডে বিতর্ক যেন থামারই নাম নিচ্ছে না। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে 22 দিন হতে চললেও এখনও অবধি সুবিচার পেল না বাংলার নির্ভয়া ও তাঁর পরিবার। এই মামলার বিচার কবে মিলবে? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এদিকে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েই চলেছে। এদিকে ‘বন্ধু’-কে বিচার পাইয়ে দিতে দেশজুড়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরাও। রয়েছেন আরজি কর-এর চিকিৎসকরাও। তবে এবার তাঁরা চরম হুঁশিয়ারি দিলেন যা শুনলে আপনিও হয়তো চমকে যাবেন।
গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি চিকিৎসকদের
সম্প্রতি বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওতে চিকিৎসকদের একজন বড় মাথাকে বড় ঘোষণা করতে শোনা যায়। এদিকে একটি ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা হলভর্তি মানুষ হাততালি দিতে শুরু করেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আন্দোলনরত কোনও ছাত্রছাত্রীর ওপর যদি কোনও আইনি পদক্ষেপ করা হয় তাহলে আমরা গণইস্তফা দেব।’ আর এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চিকিৎসক সংগঠনের নেতা সুবর্ণ গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকরা অভূতপূর্বভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এই আন্দোলনে যুক্ত থাকার জন্য কোনও ছাত্রছাত্রী বা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরকার কোনও আইনি বা বিভাগীয় পদক্ষেপ করলে সমস্ত চিকিৎসক সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে তার সমুচিত জবাব দেবে। মাথা নত করার প্রশ্ন নেই। ব্যবস্থা নিতে হলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিন। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার কথা ভুলেও না ভাবে।’
চিকিৎসকদের আন্দোলন অব্যাহত
আরজি কর-এর ঘটনার প্রতিবাদে দিকে দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। এদিকে এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙে পড়েছে বলে দাবি করছে বিশিষ্ট মহল। এদিকে এই ঘটনায় চিকিৎসকদের তরফে দাবি করা হয় যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের হুমকি দিয়েছেন। বুধবারই ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল আছে, আমি চাই তারা ভালো করে করুক। আমার সমর্থন তাদের প্রতি ছিল, আছে, থাকবে। সুপ্রিম কোর্টও রিকুয়েস্ট করেছে সবাইকে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। অনেক মানুষ পরিষেবা না পেয়ে মারা গেছে। আমরা আজ পর্যন্ত আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিইনি। কোনও ব্যবস্থা নেব না। কিন্তু এবার আস্তে আস্তে জয়েন করুন। তা না হলে সুপ্রিম কোর্ট কিন্তু সেদিন বলেছিলেন এর পর থেকে রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ করার ক্ষমতা দেওয়া হল। আমি পদক্ষেপ করতে চাই না। আমি চাই ওরা ভালো করে পড়াশুনো করুক। আমি যদি কারও বিরুদ্ধে FIR করি তার ভবিষ্যৎটা নষ্ট হয়ে যাবে সে আর কোথাও চান্স পাবে না। পাসপোর্ট পাবে না, ভিসা পাবে না। সে বিচার পাবে না। তার জীবনটা পুরো নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা সেটা চাই না।’