নয়ডাঃ কথাতেই আছে, যদি কিছু করে দেখানোর জেদ থাকে তাহলে তা হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। আজ এই প্রতিবেদনে তেমনই একজনকে নিয়ে কথা হবে যে কিনা হাজারো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজের স্বপ্নকে পূরণ করতে চলেছে। কেউ হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি যে একজন সিঙাড়া বিক্রেতা কামাল করে দেখাবে।
NEET ক্র্যাক সিঙ্গারা বিক্রেতার
মাত্র আঠারো বছর বয়সের একটি ছেলের পক্ষে পড়াশোনা আর সিঙাড়ার দোকান সমান তালে চালিয়ে যাওয়া মোটেও কিন্তু মুখের কথা না। দুপুর দুটোয় স্কুল শেষ করে ফের কাজে যোগ দেওয়া, এরপর গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করত সে। আজ নয়ডার সানি কুমার সম্পর্কে বলা হচ্ছে। যিনি বহু লড়াইয়ের পরে মেডিকেল কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য NEET ইউজি প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। সানি বলেন, ‘সিঙাড়া বিক্রি করে আমার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে না।’ অলখ পাণ্ডের ফিজিক্সওয়ালার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বিনামূল্যের স্টাডি মেটেরিয়াল ও ভিডিয়ো ক্লাস দেখেই নিটের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন সানি কুমার। সমাজমাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সানি কুমারের এই সাফল্যের কাহিনি।
সানির গল্পে চমকে যাবেন সকলে
ফিজিক্স ওয়ালার পেজে অলখ পাণ্ডে সেই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন যেখানে ছাত্র সানি কুমারের ঘর দেখানো হয়েছে। এই ফুটেজে অলখ পাণ্ডে দেখিয়েছেন কীভাবে ছাত্রের ঘরের দেওয়াল নোটে ভর্তি। তিনি নোটগুলি ভালভাবে দেখেছেন এবং ভিডিওটির ক্যাপশনও দিয়েছেন, “আপনি কি কখনও এই জাতীয় নোট দেখেছেন?”
সানি কুমার জানিয়েছেন, তিনি NEET 2024 পরীক্ষায় ৭২০-এর মধ্যে ৬৬৪ নম্বর পেয়েছেন। প্রস্তুতির এক বছরে ৪-৫ ঘণ্টা সিঙাড়া বিক্রি করে এই মাইলফলক অর্জন করেছেন তিনি। সানি জানান, অনেক সময় তিনি সারারাত পড়াশোনা করতেন। তাঁর চোখ ব্যথা করলেও না থামার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন। প্রতিদিন বিকেল ৪টে থেকে ৯ টা পর্যন্ত তাঁর এই স্টল বসে নয়ডার সেক্টর ১ এলাকায়। সানি কুমার জানিয়েছেন যে ওষুধ দেখেই তাঁর এই চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রতি উৎসাহ জন্মায়। দ্বাদশ শ্রেণিতে তিনি বিজ্ঞানের পাশাপাশি জীববিদ্যা বিষয় হিসেবে বেছে নেন আর সেই থেকেই নিটের প্রস্তুতি শুরু করেন সানি। এদিকে ছেলের সাফল্যে খুশি সানির বাবা ও মা।