প্রীতি পোদ্দার: আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে গেলেও এখনও জলের তলায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। একটার পর একটা বাঁধ ভাঙার ফলে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় পুরশুড়ায় ৷ তবে বর্তমানে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর । বন্যার জলে একাধিক বাড়ি ভেঙে গিয়েছে এবং বেশকিছু মানুষের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে । ফলে বন্যার ভয়াবহতায় এখনও আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। ত্রাণ শিবিরে হুড়োহুড়ি লেগে যাচ্ছে খবর নেওয়ার জন্য। একই অবস্থা ঘাটাল-সহ মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এদিকে সেখানকার তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব একবারের জন্যেও পাঁশকুড়ায় না আসা নিয়ে চরম সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই দেবের উদ্দেশ্যে সমাজ মাধ্যমে নানান কটূক্তি ছড়িয়ে পড়ে। যার দরুন নড়ে চড়ে বসে দল। তাই গত শনিবার তৃণমূলের তরফে জানানো হয় রবিবার দেব পাঁশকুড়া ব্লক অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। তারপর মঙ্গলদ্বারিতে দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। আর সেই অনুযায়ী গতকাল বিকেল ৪টা নাগাদ দেব পাঁশকুড়া ব্লক অফিসে আসেন। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, তমলুকের এসডিও, পাঁশকুড়ার বিডিও, পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক সারেন। কিন্তু শিডিউল অনুযায়ী দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে তিনি গেলেন না। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে সোজা কলকাতায় চলে আসেন।
কী বলছেন দেব?
অবশ্য দেব এই না যাওয়া প্রসঙ্গে নিজেই বলেন যে, ‘‘এলাকায় গিয়ে ক্যামেরায় পোজ দিয়ে ছবি তোলার চেয়ে প্রশাসনিক কাজের তদারকি আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার লোকসভা অনেক বড়। যেদিন জল ছাড়া হয়, সেদিন থেকে আমার দল ঘাটাল এলাকায় কাজ করছে।’’ এর পরে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর কথা উঠে আসতে দেব বলেন, ‘‘শুধু রাজ্য নয় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের দায়িত্ব নেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় সরকারেরও। এখানে বিজেপি হেরে গিয়েছে বলে কোনও কাজ করবে না, এটা ঠিক নয়। শুভেন্দু অধিকারীকে বলব, আসুন আমিও করি, আপনিও করুন। অধিকারী ব্রাদার্স মিলে যদি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানটা ঠিক করা যায়, তাহলে একটা ভাল বার্তা যাবে।’’
কবে শুরু হবে ঘাটাল প্ল্যান?
জানা গিয়েছে, পরের বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হয়ে যাবে। আর কাজ শেষ হতে প্রায় চার থেকে পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে। অন্যদিকে, পুনরায় বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ চোখ রাঙাচ্ছে ৷ যা রীতিমত ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষগুলির মনে। পুনরায় আতঙ্কে শিউরে উঠছে ঘোর ভেঙে যাওয়া নিয়ে।