‘বাঁধ মেরামতির ৪০ কোটি পকেটে, উল্টে গ্রামে জল ঢুকিয়ে ভাসিয়েছে তৃণমূলই’, তুলকালাম মালদায়

Published on:

bhutni

প্রীতি পোদ্দার: ২০০৯ সালের পর এমন ভয়াবহ বন্যা হয়নি আগে বঙ্গে। কিন্তু গত সপ্তাহের নিম্নচাপের এই বৃষ্টি এবং ডিভিসির জল রীতিমত কাবু করে ফেলেছে গোটা এলাকা। এদিকে বিপুল পরিমাণ ওই জল ফুঁসতে থাকা নদী বেয়ে ভাসিয়েছে হুগলি, হাওড়া গ্রামীণ এলাকা, বর্ধমান, বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবগুলি জেলাতেই খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে আনা হয়েছে লক্ষাধিক মানুষকে। যদিও পর্যাপ্ত ত্রাণের অভাবে এখনও ক্ষোভ রয়েছে প্রায় সর্বত্র। কিন্তু এই আবহে এবার বাঁধ ভাঙ্গা নিয়ে উঠল এক বড় অভিযোগ।

৪০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা!

WhatsApp Community Join Now

বারেবারে ‘ম্যান মেড বন্যা’র কথা বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই এদিকে ঘাটাল থেকে আরামবাগ এলাকায় বন্যার জলে একে একে সর্বস্ব চলে গিয়েছে গ্রামবাসীদের। এমনকি প্লাবিত হয়ে পড়েছে মালদার ভূতনির বিস্তীর্ণ এলাকা। এবার সেই এলাকায় গ্রামবাসীরা অভিযোগ করল যে সেখানে জল বার করার নামে ফুলহর নদীর বাঁধ কেটে দিয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। এমনকি বাঁধ মেরামতির জন্য সরকার যে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল, তা কাজে না লাগিয়ে তৃণমূল নেতারা সেই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে বড় অভিযোগ আনল গ্রামবাসীরা।

ভয়ংকর অভিযোগ বিজেপি নেতার

বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এক গ্রামবাসী জানান, এই নিয়ে এই বছরে দুই দুই বার বন্যার কবলে পড়লেও একবারের জন্য একটুও ত্রাণ পাননি তিনি। শুধু তিনি নিন, গ্রামের অনেকেই সেই ত্রাণ পায়নি। অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে নৌকায় করে গিয়ে রসদ আনতে হচ্ছে উঁচু জায়গায় থাকা বাজারগুলি থেকে। এই পরিস্থিতিতে সেখানকার বিজেপি নেতা গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, দেড় মাস আগে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া ফুলহর নদীর বালির বস্তার বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেই জল বার করার নামে চণ্ডীপুরের কাছে বাঁধ কেটে দেয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত এর একাংশ। কিন্তু জল নামার বদলে নতুন করে জল ঢুকতে শুরু করে। যার ফলে আরও অবস্থা শোচনীয়।

বিজেপি নেতার এই অভিযোগে পাল্টা মন্তব্য করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি। তিনি বলেন, বাঁধ ভেঙে নয়, গঙ্গাভাঙনের জন্য ভূতনিতে জল ঢুকেছে। যার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী কেন্দ্র। কারণ গঙ্গাভাঙন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের।”

সঙ্গে থাকুন ➥
X