ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গত ১৯ আগস্ট সদীপ ঘোষ-সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল CBI। টেন্ডার দুর্নীতি থেকে সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আরজি কর হাসপাতালের ফুড স্টল, ক্যাফে, ক্যান্টিনের জায়গা টেন্ডার না ডেকেই বণ্টন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যার দরুন তাঁর সমস্ত সম্পত্তি এবং বাড়ি ঘর চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়েছে।
অভিযোগ-তদন্তের ফাইল নিজের বাড়িতে লকারবন্দি করতেন সন্দীপ!
মূলত ২০২১ সাল থেকে সন্দীপ ঘোষ আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন৷ তখন থেকেই একাধিক অভিযোগ উঠে আসছিল ছাত্র ছাত্রীদের তরফ থেকে। এদিকে পূর্ব কলকাতার বেলেঘাটায় সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে CBI জানিয়েছে যে নিজের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ-তদন্তের ফাইল বাড়িতে লকারবন্দি করে রাখতেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এছাড়াও দরপত্র থেকে শুরু করে ভেন্ডারদের চুক্তিপত্র-সহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি, ফাইল – কোনওটাই নিজের অফিসে রাখতেন না ধৃত অধ্যক্ষ। সব রাখতেন নিজের বাড়িতে।
হাসপাতালের আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার!
তবে আরজি কর হাসপাতালে কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে এই ঘটনা প্রথম সামনে আনেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। তিনি ২০২৩ সালে বিভিন্ন দফতরে এই অভিযোগ করলেও কোনরকমে তদন্ত হয়নি ৷ কিন্তু গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলা সেমিনার হলে থেকে চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর সব কিছু সামনে আসে ৷ সম্প্রতি জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, রাতে সিবিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখার গোয়েন্দারা আরজি কর হাসপাতালের আলমারির তালা ভেঙে উদ্ধার করেছে নানা গুরুত্বপূর্ণ নথি ও একাধিক ফাইল৷ এবং সেগুলি রাতেই সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
CBI গোয়েন্দাদের অনুমান আরজি কর হাসপাতালে যে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল, বিশেষ করে টেন্ডার দুর্নীতি সেই ঘটনায় উদ্ধার হাওয়া এই দলিল এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো তদন্তে ব্যাপক সাহায্য করবে। অন্যদিকে বেশ কয়েকদিন আগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর তদন্তের নামে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এছাড়াও এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকেও।