প্রীতি পোদ্দার: হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে গঠিত হয় নয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর এই সরকার প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মহম্মদ ইউনূস আমেরিকায় নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৯তম সাধারণ সভায় যোগ দিতে চলেছেন। যা তাঁর কাছে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। তবে এই সাক্ষাৎ বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ককে কতটা সুমধুর করবে কারোর জানা না থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর সঙ্গে সম্পর্ক যে দারুণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গত মঙ্গলবার সেখানেই বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ইউনূসের। আর এই সাক্ষাতে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে আঁকা দেওয়ালচিত্রের ছবি সংবলিত একটি বই ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জো বাইডেনকে উপহার দেন তিনি। এছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে তুলে ধরেন কীভাবে জীবনের পরোয়া না করে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ। সব শুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের নয়া সরকারকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। কিন্তু সমর্থনে নারাজ সেখানকার মার্কিন-বাংলাদেশি নাগরিকরা।
‘গো ব্যাক’স্লোগান মহম্মদ ইউনূসকে!
সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের যে হোটেলে মহম্মদ ইউনূস থাকছেন, তার বাইরে হঠাৎ করেই বিক্ষোভ দেখান মার্কিন-বাংলাদেশি নাগরিকদের একটি বড় দল। প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁদের একটাই অভিযোগ ইউনূস অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন বাংলাদেশে। আর তিনি আসতেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর যে ধরনের হামলা চলছে অনবরত, তার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানায় তাঁরা। দেখা যাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘গো ব্যাক ইউনূস’ এবং ‘স্টেপ ডাউন ইউনূস’। আবার কয়েকটি ছবিতে বিক্ষোভকারীদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে দেখা যাচ্ছে ‘শেখ হাসিনা আমাদের প্রধানমন্ত্রী’।
In New York, US, Bangladeshi nationals gathered outside the hotel where Mohammad Yunus, the head of Bangladesh's interim government, had arrived, chanting slogans against him in protest of attacks on minorities in Bangladesh. pic.twitter.com/f1PPZkIRn5
— Jist (@jist_news) September 24, 2024
কী বলছেন বিক্ষোভকারীরা?
এছাড়াও সংবাদ সংস্থা ANI কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ জামাল হোসেন নামে একজন বিক্ষোভকারী বলেছেন, “মহম্মদ ইউনূস অসাংবিধানিকভাবে এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন। আর ক্ষমতায় এসেই প্রচুর লোককে হত্যা করেছেন পরোক্ষভাবে। এখনও পর্যন্ত আমাদের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি। আমরা রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, তাঁকে যেন এখানে বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিত্বকারী বলে না মানা হয়।”