প্রীতি পোদ্দার: দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দিন রাত DVC–কে দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও কাটেনি বন্যা দুর্যোগ। সেতু ভেঙে জলের তোড়ে এখনও ঘরছাড়া বহু সাধারণ মানুষ। তার উপর আবার বৃষ্টি দুর্যোগ দেখা গিয়েছে বঙ্গের আকাশে। গত মঙ্গলবার থেকে দিন রাত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েই চলেছে। ফলত আশঙ্কা বাড়ছে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার। আর এই আবহেই এবার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এক ভয়ংকর সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে নতুন বন্দোবস্ত নিতে চলেছে।
ষাঁড়াষাঁড়ির বানে প্লাবিত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি!
বেশ কিছুদিন আগে ষাঁড়াষাঁড়ির বানে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। সঙ্গে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল কলকাতা পুরসভার ৭৩, ৭৪, ৮২ এবং ৮৩ নম্বর ওয়ার্ড। যদিও এই সমস্যা নতুন নয়, দশকের পর দশক ধরে এই ষাঁড়াষাঁড়ির বানের সম্মুখীন হতে হয়েছে ওই এলাকার মানুষদের। মহাবিপদে পড়তে হয় তাঁদের। তাই এবার সেই সমস্যা সমাধানের জন্য বড় উদ্যোগ নিল ফিরহাদ হাকিম।
কী বলছেন ফিরহাদ হাকিম?
গতকাল অর্থাৎ বুধবার, ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘আর দু’বছর বাদে কালীঘাট, চেতলা এলাকায় আদিগঙ্গায় আর ষাঁড়াষাঁড়ির বান আসবে না। তার কারণ আমরা খুব শীঘ্রই একটি লকগেট তৈরি করতে চলেছি। যখন এই ষাঁড়াষাঁড়ির বান আসবে, তখন এই লকগেট ফেলে দিলে প্লাবন আটকানো যাবে।’’ তিনি এই লকগেট প্রসঙ্গে আরও বলেন যে, ‘‘আদিগঙ্গার পারের দেখভাল করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। কারণ এই এলাকাগুলি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অধীন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এ ক্ষেত্রে উদাসীন। তাই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হয়েছে। একবার এই লকগেট চালু হলেই তখন আর এই বানের পরিস্থিতি তৈরি হবে না।” অর্থাৎ এই এই লকগেট তৈরি হলে একদিকে যেমন বাঁচবে কালীঘাট অপরদিকে রক্ষা পাবেন ভবানীপুরের মানুষজন।
প্রসঙ্গত, এই লকগেটটি চালু হয়ে গেলে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রের ষাঁড়াষাঁড়ির বানের সমস্যা পুরোপুরি মিটে যাবে বলেই মনে করছেন পুর আধিকারিকেরা। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন এই লকগেটটি তৈরি করা হবে মেয়র ফিরহাদের বিধানসভা কেন্দ্র হেস্টিংসের কাছে দহিঘাটে।