প্রীতি পোদ্দার: ৯ বছর পর অবশেষে আদালতের ছাড়পত্র মিলতেই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি আনল রাজ্য। উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর মেধা তালিকা প্রকাশ করল SSC। তবে কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১৪,৩৩৯ জন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অনুসারে, এদিন ১৪ হাজার ৫২ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
সময়ের আগেই মেধা তালিকা প্রকাশ SSC-র!
আসলে ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ হলে দেখা যায় ১৪ হাজার ৫২ জনের নাম। অভিযোগ ওঠে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিস্তর বেনিয়মের। যার ফলে হাইকোর্টে মামলার জটে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে যায়। এরপর ২০২১ সালে SSC জানায় ১৪৬৩ জনকে মেধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তখনই সেই বাদ পড়া পরীক্ষার্থীরা হাইকোর্টে মামলা করলে শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, ওই ১৪৬৩ জনকে যে প্রক্রিয়ায় বাদ দেওয়া হয়েছিল, তা ঠিক ছিল না। পুনরায় তাদেরকে নিয়ে ১৪ হাজার ৫২ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তার জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়সীমা। আর সেই ডেডলাইনের মধ্যেই প্যানেল প্রকাশ করল SSC।
কী বলছেন কমিশনের চেয়ারম্যান?
তবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রকাশের মাঝেই প্রশ্ন উঠছে কবে থেকে কাউন্সেলিং শুরু হতে চলেছে। কারণ SSC এখনও নির্দিষ্টভাবে এই প্রসঙ্গে কোনো তথ্যই প্রকাশ করেনি। তবে কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, “যেহেতু আগেই জানানো হয়েছিল যে পুজোর আগেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাই পুজোর আগেই এক বা দু’দিন কাউন্সেলিং হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান।” অন্যদিকে পুজোর আগেই উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এবার তাই বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার সূচি প্রকাশ করা হতে পারে। কারণ পুজোর আগে এক বা দু’দফায় কাউন্সেলিং করার জন্য কমিশনের হাতে একদমই বেশি সময় নেই।
অন্যদিকে উচ্চ প্রাথমিকে এই কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেছেন, “বহু জ্বালা যন্ত্রণা এবং অবজ্ঞার পরে উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আর যেন কোনও ঢিলেমি না হয়। তাই অতি দ্রুত সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক এবং চাকরিপ্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হোক।”