মহাপ্লাবনের আশঙ্কা! হু হু করে বাড়ছে জলস্তর, ফুঁসছে তিস্তা নদী! ফের সংকটে উত্তরবঙ্গ

Published:

teesta river
Follow

শ্বেতা মিত্রঃ একদম দোরগোড়ায় এসে হাজির হয়েছে দুর্গাপুজো। কিন্তু দুর্গাপুজোর সময়েও বাংলা জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মহালয়ার সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা রীতিমতো বেশি বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেণ হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা। এদিকে টানা বৃষ্টির জেরে ও ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার জেরে দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের একাংশ জায়গা জলের তলায় চলে গিয়েছে। বন্যার জলের তলায় চলে গিয়েছে, গ্রামের পর গ্রাম থেকে শুরু করে একাধিক রাস্তাঘাট। ব্যাহত হয়েছি সাধারণ মানুষের জনজীবন। হাঁটু জলে ডুবেই সব রকম কাজ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এসবের মাঝেই এবার লাল সর্তকতা জারি করা হলো উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায়।

উত্তরবঙ্গে লাল সতর্কতা জারি

তিস্তা নদীর জল ক্রমশ বিপদ সীমার ওপর বইতে শুরু করেছে। হু হু করে বাড়ছে জলস্তর। যে কারণে এবার চরম সতর্কতা জারি করল প্রশাসন। তিস্তার মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷ দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি জেরে কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গেরও একাধিক জায়গা। দার্জিলিং, কালিম্পং থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে দার্জিলিং কিংবা কালিম্পং-এর পাহাড়ে যারা ঘুরতে গেছেন তারাও বিপাকে পড়েছেন। পাহাড়ে একাধিক জায়গায় লাগাতার ধস নামতে শুরু করেছে। আজ শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। রাস্তায় আটকে রয়েছে পর্যটক বোঝাই একের পর এক গাড়ি। কখন এই জট খুলবে সেই বিষয়ে এখন অবধি কোনোরকম নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।

হু হু করে জলস্তর বাড়ছে তিস্তার  

এদিকে লাগাতার ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীও যেন ফুঁসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই নদীর পার্শ্ববর্তী জায়গাগুলি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করার পাশাপাশি ময়নাগুড়ির দোমহনি থেকে মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জাতি করেছে সেচ দফতর ৷ তিস্তা নদীর মেখলিগঞ্জ এলাকার বেশ কিছু জায়গায় ভাঙন শুরু হয়েছে৷ তিস্তা নদীর জলে জলমগ্ন হয়েছে সদর ব্লকের বাহিরচর এলাকাও বলে খবর। 

এদিকে গোদের ওপর গোদের উপর বিষফোড়ায় হয়েছে আরো একটি বিষয়। আর সেটি হল, আজ শুক্রবার সকাল থেকে গাজোলডোবা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হয়েছে । ফলে মহা প্লাবনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মানুষকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার পরামর্শ জারি করা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join