প্রীতি পোদ্দার: দেখতে দেখতে পুজো প্রায় চলেই এসেছে। কেনাকাটা থেকে শুরু করে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কিন্তু মাঝখানে একেবারে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। বিগত কয়েকদিন নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিতে একেবারে নাজেহাল অবস্থা হয়ে গিয়েছে রাজ্যবাসীর। রীতিমত বন্যা পরিস্থিতিতে অর্ধেক অংশ ডুবে রয়েছে এখনও। তার উপর আবার শোনা যাচ্ছে পুজোতেও জোর কদমে চলবে বৃষ্টি। যার ফলে আনন্দ শুরু হওয়ার আগেই মাটি হয়ে গিয়েছে সকলের মেজাজ।
আসলে এর আগে হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, দক্ষিণ-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ এবং সংলগ্ন এলাকার উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। অন্য দিকে, দক্ষিণ গুজরাত থেকে উত্তর-পশ্চিম বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি অক্ষরেখা। এই দুইয়ের প্রভাবেই বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসছে জলীয় বাষ্প। তার প্রভাবেই রাজ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। কিন্তু এবার সেই আপডেটে বিরাট পরিবর্তন ঘটল। মূলত ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বৃষ্টি একেবারেই পণ্ড করতে পারবে না পুজোর আনন্দকে।
পুজোতে কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?
আজ অর্থাৎ শুক্রবার আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত দুর্গাপুজোর আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। ৯ তারিখ পর্যন্ত প্রতিটি জেলাতেই বৃষ্টি হতে পারে। ১০ থেকে ১৩ তারিখ বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা কমতে পারে। তাই পুজোর আনন্দ বেশ জমবে সকলের। তবে বৃষ্টি কমতেই ফের অস্বস্তিকর গুমোট পরিবেশ ফিরে এসেছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ের খবর পাওয়া গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে আজ দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু অন্য কোনও জেলায় আবহাওয়া সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করেনি হাওয়া অফিস। ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাহাড়ে ধস নামতে পারে। বাড়তে পারে বিভিন্ন নদীর জলস্তর। চাষেরও ক্ষতি হতে পারে। আগে থেকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভূমিধসে সড়কপথে সিকিম-শিলিগুড়ির লাইফলাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রবল বর্ষণের ফুঁসছে তিস্তাও।