প্রীতম সাঁতরাঃ পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচে (IND vs BAN) প্রায় আড়াই দিন বৃষ্টি। ক্রিকেট প্রেমীদের উৎসাহে ভাটা পড়তে শুরু করেছিল। ভারত ব্যাটিং শুরু করতেই এক লহমায় উত্তেজনা বৃদ্ধি। বাংলাদেশের বোলারদের বিরুদ্ধে চরম আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট ঘোরালেন যশশ্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal), রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), বিরাট কোহলি (Virat Kohli), লোকেশ রাহুলরা (KL Rahul)। টেস্ট নাকি টি২০ দেখে বোঝার উপায় ছিল না। ভারতের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সামনে দিয়েশেহারা টাইগার ব্রিগেড। রোহিতদের এই স্ট্রাটেজি কার মস্তিস্কপ্রসূত?
গম্ভীরের মাস্টারপ্ল্যান
চতুর্থ দিনের শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার বোলিং কোচ মরনে মরকেল। কোনও রাখঢাক না রেখে তিনি বলেছেন, ‘জিজি (Gautam Gambhir) বলার পরেই দল এভাবে খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। যত দ্রুত সম্ভব রান তোলার কৌশল নেওয়া হয়। রোহিত এই কাজ বহুবার করেছেন। বল যেমনই আসুক না কেন ইনিংসের শুরু থেকে দ্রুত রান তোলার ব্যাপারে রোহিতের জুড়ি মেলা ভার। অসমান বাউন্স হলেও বড় শট মারতে পারেন। ক্যাপ্টেন সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব প্রদান করলে সেটা সব সময় দর্শনীয় বিষয় হয়। প্রতিপক্ষের বোলারদের ব্যাকফুটে ঠেলতে সময় লাগে না।’
চালকের আসনে ভারত
ব্যাট করতে নেমে টিম ইন্ডিয়া মাত্র ৩৪.৪ ওভারে ২৮৫/৯ রান তোলে স্কোরবোর্ডে। ওভার প্রতি গড়ে ৮.২২ রান। দিনের দিন ইনিংস ডিক্লিয়ার করে ভারত। তারপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এক সময় মনে হয়েছিল এই ম্যাচ অমীমাংসিত থেকে যাবে। ভারতের এই মারমুখী ব্যাটিং সব হিসেব ঘুরিয়ে দিয়েছে। ভারত এখন চালকের আসনে। ম্যাচে জয় পরাজয়ের ফলাফল পাওয়া গেলেও যেতে পারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড
যশশ্বী জয়সওয়াল ৫১ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেছেন। তাঁর ইনিংসে ১২টি চার, দু’টি ছয়। রোহিত করেন ১১ বলে ২৩ রান। শুভমন গিলের নামের পাশে ৩৬ বলে ৩৯ রান। বিরাট কোহলি করেছেন ৩৫ বলে ৪৭ রান। লোকেশ রাহুল ৪৩ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর ২৩৩। ভারতের ২৮৫/৯ (ডিক্লিয়ার)।