প্রীতি পোদ্দার: প্রায় আড়াই বছর আগে ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল ED। ঘন্টার পর ঘন্টা দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। তবে তিনি শুধু একা নন, একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ বান্ধবী’ অর্পিতা মুখার্জিকে। তাঁর টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তদন্ত করতে গেলে ED নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে। পাশাপাশি প্রচুর বিদেশি মুদ্রা এবং সোনার গয়নাও পাওয়া গিয়েছিল।
শুধু টালিগঞ্জ নয় বেলঘরিয়ার ‘ক্লাব টাউন হাইট্স’ আবাসন থেকেও মিলেছিল ভুরি ভুরি জিনিসপত্র। সেখান থেকে মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করেছিল ED। সঙ্গে প্রচুর টাকার গয়না। সব মিলিয়ে মোট নগদ ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং ৫ কোটি ৮ লাখ টাকার গয়না উদ্ধার হয়েছে। যা দেখে রীতিমত তাজ্জব হয়ে গিয়েছিল কলকাতাবাসী। তবে গ্রেফতারির ঘটনায় শুধু ED নয়, CBI ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসসিতে নিয়োগের মামলায় গ্রেফতার করেছিল। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে এবার প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতে চলেছে CBI।
সুপ্রিমকোর্টে পার্থর জামিনের আবেদন
এদিকে এর আগে একাধিকবার হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কোনো আবেদনই মঞ্জুর করেনি হাইকোর্ট। এবার জামিনের আর্জি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তাঁর হয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয় যে, ‘বিচারপ্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। এই মামলায় সর্বোচ্চ ৭ বছরের সাজা হয়ে থাকে। ইতিমধ্যেই দুবছরের বেশি তিনি জেল খেটে চলেছেন। তাই তাঁর মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক।’
দ্রুততার সঙ্গে শোনার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
গতকাল অর্থাৎ সোমবার এই মামলার শুনানিতে নোটিস জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। এই আর্জির পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ানের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, জামিন মামলায় দ্রুত শুনানি করতে হবে নিম্ন আদালতকে। ১০ দিন পর আবার এই মামলার শুনানি হবে।