প্রীতি পোদ্দার: পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে আজ থেকেই শুরু দেবীপক্ষের। পুজোর আনন্দে ডুবছে গোটা বঙ্গবাসী। কিন্তু এই আবহেই এবার রাজনীতি মহলে এল একটি বড় টুইস্ট। হঠাৎই বেসুরো হয়ে উঠলেন রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক চাঞ্চল্যকর পোস্ট করে ফের লাইমলাইটের আলো কেড়ে নিলেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট কৃষ্ণ কল্যাণীর!
সূত্রের খবর, মাঝরাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক লিখেছেন, ‘আমি কৃষ্ণ কল্যাণী, একজন জনপ্রতিনিধি। আর জেলাশাসক জনগণের চাকরি করেন। যদি এই ব্যবস্থার পরিবর্তন না হয়, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি কোনও দলের হয়ে আর কাজ করব না। আমি স্বাধীন ভাবে মানুষের পাশে থেকে তাঁদের সাহায্য করতে চাই।’ আর এই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। তৈরি হয় রাজনৈতিক চাপানউতর। তবে কি এবার রাজনীতির ছাড়ার পথে হাঁটতে চলেছেন তিনি? আসলে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের সঙ্গে ব্যাপক বিবাদ বেঁধেছে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর। তাই এই পোস্ট।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ কৃষ্ণর!
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে রায়গঞ্জ থেকে প্রার্থী হন কৃষ্ণ। প্রায় ৫০ হাজার ভোটে জয়ী হন তিনি। কিন্তু ভোটের কয়েক মাস পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করায় বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকারের কাছে আবেদন করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূলে যোগদান করলে তাঁকেই বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু শারীরিক কারণ দেখিয়ে মুকুল পিএসির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ালে সেই পদে কৃষ্ণ কল্যাণীকেই বসিয়েছিলেন স্পিকার।
কিন্তু গত ২৩ অগস্ট সমাজমাধ্যমে বিধানসভার পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার কথা লিখেছিলেন কৃষ্ণ। সেই অনুযায়ী গত ১০ সেপ্টেম্বর বিধানসভার পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকেও ইস্তফা দেন কৃষ্ণ। পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই বেশ চাপে ফেলে দেয় শাসকদলকে। আর এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ইস্তফার ছায়া দেখতে পাওয়ায় সকলের মনে প্রশ্ন জাগছে তবে কি বিধায়ক পদও ছাড়তে চলেছেন। এই নিয়ে নিজের দলের মধ্যেই উঠছে নানা কথা।