প্রীতি পোদ্দার: হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগামী সপ্তাহ থেকেই পুজো শুরু। যেই পুজোর জন্য গোটা এক বছর মায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। চারিদিকে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আর এই আবহেই ঘটল এক ভয়ংকর ঘটনা। যা দেখে রীতিমত হতচকিত হয়ে পড়ল স্থানীয় এলাকার মানুষেরা।
ঘটনাটি কী?
গত সোমবার সকালে কোচবিহারের শীতলকুচিতে খলিসামারির নির্মীয়মান পুজো মণ্ডপের মাঝে একটি গবাদি পশুর মাথা দেখতে পারেন স্থানীয়রা। যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে ধর্মবিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় এলাকায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শীতলকুচি থানার পুলিশ। যত শীঘ্র সম্ভব তদন্তকারীদের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। আর এই ঘৃণ্য ঘটনায় সোচ্চার হয়েছেন বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তীব্র প্রতিবাদ বিজেপি দলনেতা শুভেন্দুর
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “ঘৃণ্য – জঘন্য পদ্ধতিতে সীমান্তপারের চরমপন্থী সাম্প্রদায়িক নিপীড়নকে আমদানি করার চেষ্টা করছে কিছু দুষ্কৃতী। ওপার বাংলার কাজকর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে দুর্গাপুজোর আনন্দকে মলিন করতে ও সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে ভয় ও সন্ত্রাসের পরিবেশ গড়তে চাইছে পশ্চিমবঙ্গের দুষ্কৃতীরা। আমি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি, কোচবিহারের পুলিশ সুপার শ্রী দ্যুতিমান ভট্টাচার্য ও জেলাশাসক শ্রী অরবিন্দ কুমার মিনাকে দ্রুত এব্যাপারে পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করব। যত শীঘ্রই এই অপরাধ বিনাশ করা জরুরি।”
Miscreants are trying to import the cross border culture of radical & communal subjugation, by means of abominable and nefarious activities.
Buoyed by the activities of the radicalists in Bangladesh who are trying to repress the festivities surrounding the Durga Puja, miscreants… pic.twitter.com/IvbVdI3yF9
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) September 29, 2024
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে দুর্গা পুজো নিয়ে আশঙ্কা এবং আতঙ্ক বেড়েই চলেছে সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের মনে। আগেই খুলনা এবং ময়মনসিংহ এলাকায় পুজো নিয়ে নানা হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি সেখানে এবার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে না বলে হিন্দুদের সতর্ক করেছে ইসলামপন্থী একটি সংগঠন। তবে সেখানে শান্তিতে পুজোর আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশ এবং মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। সেই জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে ইউনূসের সরকার। পুজোয় সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মইনুল ইসলাম।