শ্বেতা মিত্রঃ যত সময় গেছে ততই যেন ইজরায়েল এবং হিজবুল্লাদের মধ্যে সংঘর্ষের মাত্রা বেড়েই চলেছে। দুই তরফেই যেন রক্তের গঙ্গা বয়ে যাচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে গোটা বিশ্ব আরো এক যুদ্ধের সাক্ষী থাকতে চলেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে আমেরিকার ছাড়পত্র নিয়ে সোমবার রাত থেকে রীতিমতো যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিল ইজরায়েল। দুপুরে পরে খবর আসে মোসাদের সদর দপ্তর টার্গেট করে রকেট ছুঁড়েছে হিজবুল্লারা। অন্যদিকে রাতে ইজরায়েলের ডিফেন্স ফোর্স দাবি করেছে যে আচমকা মিসাইল হামলা শুরু করে দিয়েছে তেহরান। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের জেরে দুই জায়গার বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। লাগাতে প্রাণ যাচ্ছে বহু সেনা জওয়ানেরও। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না।
ইজরায়েলী সেনাবাহিনীর মৃত বহু
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধেও ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এক রিপোর্ট অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর সঙ্গে লেবাননের সংঘর্ষে আইডিএফ অর্থাৎ ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স এক কমান্ডারসহ আরও আট সেনার নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। যদিও এই ঘটনায় চুপ করে কিন্তু বসে নেই ইজরায়েল। প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে দেশ।
বদলা নিল ইজরায়েল
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী বেইরুটে কেন্দ্রস্থলে বোমা হামলা চালায়। ওই হামলায় হিজবুল্লাহর অন্তত ছয় জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে খবর। একই সঙ্গে আহত হয়েছে সাতজন। ইজরায়েল দাবি করেছে, তারা বেইরুটে নিখুঁত বিমান হামলা চালিয়েছে। পার্লামেন্টের কাছে বৈরুটের বাচৌরা এলাকার একটি ভবন লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। আর এতেই হিজবুল্লাহ জঙ্গিদের অনেকে নিহত হয়েছে।
IDF জানিয়েছে, “হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময়, ক্যাপ্টেন ইটন ইটজাক ওস্টার, ক্যাপ্টেন হার্ল এটিঙ্গার, ক্যাপ্টেন ইতাই এরিয়েল গিয়াত, সার্জেন্ট প্রথম শ্রেণির নোয়াম বারজিল, সার্জেন্ট প্রথম শ্রেণির বা মন্টজুর, সার্জেন্ট প্রথম শ্রেণির নাজার ইটকিন, স্টাফ সার্জেন্ট আলমাকেন তেরেফ এবং স্টাফ সার্জেন্ট এডো ব্রায়ার শহীদ হয়েছেন।”