প্রীতি পোদ্দার: গত কয়েক বছরে রাজ্যে একাধিক আইন বিরুদ্ধ কাজ লাগাতার ঘটেই চলেছে। যার জেরে রাজ্য প্রশাসনকে একাধিক কারণে কথা শুনতে হয়েছে। কখনও বিরোধী দলগুলি একের পর এক ঘটনায় তীব্র নিন্দা করছে। অন্যদিকে বিভিন্ন দুর্নীতি কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্ট ভৎর্সনা করেই চলেছে রাজ্য সরকারকে। আর এই আবহে ফের পরকীয়া কাণ্ডে চোপড়ার পর এবার রতুয়ায় ঘটল ভয়ংকর পরিণতি।
ঘটনাটি কী?
গত মঙ্গলবার, রাতে মালদার পুখুরিয়া থানা এলাকার রতুয়ায় পরকীয়া সম্পর্কের বিচারের জন্য সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। সেই সময় পরকীয়ায় জড়িত মহিলা ও ওই যুবককে গ্রামে ডেকে পাঠানো হয়। অন্যদিকে সালিশি সভার খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে গেলেও এলাকার স্থানীয় কিছু বাসিন্দা দূর থেকেই পুলিশকে কোনো ভুল তথ্য দিয়ে বুঝিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এর পরেই সুযোগ বুঝে স্থানীয়রা ওই যুগলকে এবং মহিলাকে বেঁধে ফেলে। তারপরেই সালিশি সভার হোতা আনোয়ারুল যে কিনা ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির দিকের আত্মীয় সে বাঁশ দিয়ে পেটানো শুরু করে তাঁদের। এরপর সবাই মিলে মারতে শুরু করে। আর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই অন্য দিকে মোড় নেয়।
ভিডিয়ো পোস্ট বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর
সূত্রের খবর, এই গোটা ঘটনার ভিডিয়ো বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সোশ্যাল সাইটে আপলোড করে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, এক পুরুষ ও এক মহিলার হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। এক ব্যক্তি মোটা বাঁশ দিয়ে তাঁদের পিটিয়ে চলেছে। তাঁদের ঘিরে ধরে মারমার বলে চিৎকার করছে জনতা। যদিও ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হয়নি। এই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে শুভেন্দু দাবি করেন যে যে বাঁশ দিয়ে মারছিলেন তিনি ওই এলাকার তৃণমূলের স্থানীয় নেতা আনোয়ারুল।
Chopra, Ariadaha, Cooch Behar, the list grows…
TMC leaders beating up women with bamboo stick who grimace in pain have become a common sight in WB.
This time it's Ratua; Malda District.
Last night TMC leader Md. Anarul Haque could be seen beating up a Woman, whose hands were… pic.twitter.com/4RD607r3iT— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 2, 2024
যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি রহিম বক্সি এই দাবি একদমই উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আনোয়ারুল তৃণমূলের নেতা তো দূরের কথা, সাধারণ সদস্যও নন। তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী। আর ঘটনাটা একেবারেই পারিবারিক। তবুও মহিলাকে মারধর বড় অপরাধ। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।’ এর আগে চলতি বছরের জুলাই মাসে দেখা যায় পরকীয়া জড়িয়ে পড়ায় রাস্তায় ফেলে যুগলকে মারধর করা হয়। বাম নেতা মহম্মদ সেলিমের এই ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে।