কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে। সাধারণ আনাজপাতি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, ডিমের দাম কমার বদলে দিনদিন বেড়েই চলেছে আর এইসকল জিনিস কিনতে গিয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষের। কবে এই দাম কমবে? সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন সকলে। আদৌ দাম কমবে তো? এই প্রশ্নও তুলতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে এখন উৎসবের মরসুম চলছে এসবের মাঝেই এবার এক ধাক্কায় আরও বেশ খানিকটা দাম বেড়ে গেল রান্নার তেলের। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। যে কারণে সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষের মাথায় চিন্তার বাজ ভেঙে পড়েছে।
দাম বাড়ল তেলের?
আসলে ভোজ্য তেলের উপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। তাও কিনা এক ধাক্কায় ২২ শতাংশ। তাই এখন সব ধরনের ভোজ্য তেলের খুচরো দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। অর্থাৎ সাধারণ আলু মাখানোর সময়ে তেল দিতে গিয়েও সাধারণ ঘরের মানুষ দশবার ভাববেন হয়তো।
দামি সবজিও
উৎসবের আবে সবজিও যেন দামি হয়ে উঠেছে। টমেটোর দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকায় পৌঁছেছে। বেশির ভাগ সবজি মিলছে ৬০-৮০ টাকা কেজি দরে। মূল্যস্ফীতির যুগে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় সকলেরই সমস্যা বেড়েছে। পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো তিনটির দাম বেড়ে যাওয়ায় নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এবার সবজির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হওয়া। ফলনের মাত্র ৩০ শতাংশ পেয়েছেন কৃষকরা। সবজি ফসলের ৭০ শতাংশ ক্ষতি নিরূপণ করা হচ্ছে। হু হু করে দাম বাড়ছে চালেরও।
চাল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে মিল মালিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আবদুল মালেক বলেন, ‘এই ঘটনায় চাষিরা ধানের দাম বেশি পাবেন। এখন মোটা স্বর্ণ ধানের দাম খোলাবাজারে কুইন্টালে ২০০ টাকা বেড়েছে। গোবিন্দভোগ বেড়েছে ৪০০ টাকা। মিনিকিট চালের দাম কেজিতে ২ টাকার মতো বেড়েছে।’