প্রীতি পোদ্দার: গত শনিবার, পঞ্জিকা অনুযায়ী ছিল বিজয়াদশমী। তাই সেই নীতি মেনে অনেকেই এদিন উমার বিসর্জন দিয়েছে। কিন্তু এই আবহে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে দুর্গাপ্রতিমার বিসর্জনকে ঘিরে তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছে তৃণমূল শাসিত স্থানীয় পুরসভা কর্তৃপক্ষ । বড় দুর্গাপ্রতিমাকে রীতিমত মেশিন দিয়ে টুকরো টুকরো করা হয় এবং হাতে করে নামেমাত্র জল ছিটিয়ে বিসর্জন পর্ব মিটিয়ে ফেলার এক ভয়ংকর অভিযোগ উঠে এল। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ‘ন্যাক্কারজনক’ আখ্যা দিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
ভাইরাল পোস্ট
এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবীদুর্গার প্রতিমা মেশিন দিয়ে কাটার ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। এবং ধিক্কার জানিয়ে লিখেছেন এই দৃশ্য বাংলাদেশের নয়, এই কীর্তি নাকি পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু বিরোধী শাসক তৃণমূল দল পরিচালিত পুরসভার। গতকাল কৃষ্ণনগর কদমতলা ঘাটে কৃষ্ণনগর পৌরসভার নির্দেশে পৌরসভার কর্মচারীরা নাকি এভাবেই দুর্গা ঠাকুরের প্রতিমাকে কেটে টুকরো করে ভাসান দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন যে “ঠিকঠাক ভাবে শাস্ত্র মতে ভাসান হয়ে যাওয়ার পরে নদী পরিষ্কার রাখার জন্য যা করণীয় সেটা করলে কারুরই কোনো আপত্তি থাকতো না, কিন্তু তা না করে সর্বসমক্ষে এই কান্ড ঘটানোর উদ্দেশ্য কি?’
হিন্দু সংস্কৃতির ভাবাবেগে বাঁধা প্রশাসনের
সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করে বসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন “এইভাবে একের পর এক সরাসরি সনাতনীদের আস্থায় আঘাত কেন হানছে প্রশাসন? এর আগে রাণাঘাটে ১১২ ফুটের দুর্গাপুজো বন্ধ করেছে তৃণমূলের প্রশাসন, অন্যদিকে মেশিন দিয়ে কেটে প্রতিমা বিসর্জন আরও একবার হিংসামূলক কাজ করেছে। মমতা ব্যানার্জী আর তার প্রশাসন যদি ভেবে থাকে এই ভাবে হিন্দুদের আস্থা এবং বিশ্বাসের উপর আঘাত হানতে থাকবে আর হিন্দুরা সেটা মেনে নেবে, তাহলে সেটা হবে না। আমি সকল হিন্দু ভাই বোনদের কাছে আবেদন করছি আপনারা এবার জাগ্রত হন। এই হিন্দু বিরোধী তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এবার একত্রিত হয়ে আওয়াজ ওঠানোর সময় এসেছে।”
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |