কলকাতাঃ হাওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge)… বাংলার মানুষের কাছে এই আলাদাই ইমোশনের জায়গা। বছরের পর বছর ধরে নানা ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছে এই ব্রিজ। বর্তমানে এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ বাস, ট্রাক, অন্যান্য গাড়ি চলাচল করে। সেইসঙ্গে বহু মানুষও এই হাওড়া ব্রিজের ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে যে যার গন্তব্যে ছুটে চলেছেন। কিন্তু এই ব্রিজ তৈরির ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কম মানুষই আছেন যারা হয়তো জানেন। তবে আপনি কি জানেন যে এই হাওড়া ব্রিজ তৈরি হওয়ার পিছনে টাটা গোষ্ঠীর কত বড় ভূমিকা ছিল? শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি।
হাওড়া ব্রিজের ইতিহাস
হাওড়া ব্রিজ বা রবীন্দ্র সেতু হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি নদীর উপর ঝুলন্ত একটি ক্যান্টিলিভার সেতু। ১৯৪৩ সালে চালু হওয়া এই সেতুটির আসল নাম ছিল নিউ হাওড়া ব্রিজ, কারণ এটি একই স্থানে একটি পন্টুন ব্রিজের পরিবর্তে হাওড়া এবং কলকাতা দুটি শহরকে সংযুক্ত করেছিল। ১৯৬৫ সালের ১৪ জুন প্রথম ভারতীয় ও এশীয় নোবেল বিজয়ী বাঙালি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় রবীন্দ্র সেতু। এটি এখনও হাওড়া ব্রিজ নামেই বেশি পরিচিত।
হুগলি নদীর উপর নির্মিত সেতুটি কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের কাছে একটা ভালো লাগার জিনিস। এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০০,০০০ যানবাহন এবং সম্ভবত ১৫০,০০০ এরও বেশি পথচারী চলাচল করেন। যদিও এই হাওড়া ব্রিজ তৈরিতে টাটা গোষ্ঠীর ভূমিকা ছিল ব্যাপক।
হাওড়া ব্রিজ তৈরিতে টাটা গোষ্ঠীর ভূমিকা
জানা যায়, হাওড়া ব্রিজ থেকে শুরু করে দুবাইয়ের বিখ্যাত বুর্জ খালিফা, লন্ডন আই তৈরী করার ক্ষেত্রেও টাটাদের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। আজ কথা হবে হাওড়া ব্রিজ নিয়ে। হাওড়া ব্রিজ বা রবীন্দ্র সেতুর বয়স ৮১ বছর। অনেকেই হয়তো জানেন না যে ঐতিহাসিক হাওড়া ব্রিজ তৈরীর সরঞ্জাম ইংল্যান্ড থেকে কলকাতায় ২৫, ০০০ টন স্টিল আসার কথা ছিলো। কিন্তু শেষমেষ এসে নাকি পৌঁছায় মাত্র ৩০০০ টন স্টিল। বাকি ২৩ হাজার টন স্টিল সেইসময়ে সরবরাহ করেছিল ভারতীয় ইস্পাত ব্যবসায়ী টাটা গোষ্ঠী।