শ্বেতা মিত্রঃ এসে গেল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ যেটার অপেক্ষা রাজ্যের হাজার হাজার সরকারি কর্মী করছিলেন। দুর্গাপুজো শেষ হয়েছে। আজ লক্ষ্মীপুজো, এরপর দিওয়ালি। আর এই উৎসবের আবহে রাজ্যের হাজার হাজার সরকারি কর্মীদের কপাল খুলে যেতে চলেছে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। মুখ্যমন্ত্রী আগে জানিয়েছিলেন যে যেহেতু রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি ভালো নয়। সেজন্য কেউকে আপাতত DA বা মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া হবে না। তবে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এমন এক ঘোষণা করলেন যারপরে সকলের মুখে হাসি ফুটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাড়ছে ডিএ
এমনিতে বর্তমান সময়ে লক্ষ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ডিএ বৃদ্ধির অপেক্ষা করছেন। সকলে এখন ৪৬ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা পাচ্ছেন। তবে এবার সকলে ৫০ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধির অপেক্ষায় দিন গুনছেন। কিন্তু আচমকা রাজ্যের সরকারি কর্মীদের এক ধাক্কায় অনেকটাই ডিএ বাড়ানো ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই সকলের মুখে হাসি ফুটেছে। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কোন রাজ্যের কথা বলা হচ্ছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
আপনি যদি ভেবে থাকেন যে বাংলার সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি হয়েছে তাহলে ভুল ভাবছেন। আসলে এই ডিএ বেড়েছে হিমাচল প্রদেশের সরকারি কর্মীদের। তাও আবার সবার নয়। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন।
বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মতো রাজ্যের পরিবহণ নিগমের কর্মচারীরাও বর্ধিত হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। উৎসবের আবহে স্বাভাবিকভাবেই এটা লটারির তুলনায় কম কিছু নয়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আমাদের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যেমন চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়েছিল, সেরকমভাবেই হিমাচল প্রদেশের পরিবহণ নিগমের কর্মচারীদেরও ডিএ বাড়াচ্ছি আমরা।’ তিনি আরও বলেছেন যে, ‘রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যে সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন, সেটা হিমাচল প্রদেশের পরিবহণ নিগমের কর্মচারীদেরও দেওয়া হচ্ছে।’
দিওয়ালির কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা ১ ও ৯ নভেম্বরের পরিবর্তে যথাক্রমে ২৮ অক্টোবর বেতন ও পেনশন পাবেন। কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্তদের সমস্ত বকেয়া চিকিৎসা বিলের অনুমোদনের কথাও ঘোষণা করেছেন, যার জন্য ইতিমধ্যে ১০ কোটি টাকার নির্ধারণ করা হয়েছে।