কলকাতাঃ দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে সকলেরই এখন মন খারাপ। কিন্তু এই দুর্গাপুজো চলাকালীন রীতিমতো রাজস্ব ফুলে ফেঁপে উঠেছে বাংলার। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। কারণ চলতি বছর পুজোতে রেকর্ড হারে মদ বিক্রি হয়েছে। এমনিতে উৎসবের মরসুমে সিংহভাগ মানুষ খোশমেজাজে থাকেন। আর এই বিশেষ দিনগুলিতে সাধারণ মানুষ মদ খাবেন না বা কিনবেন না সেটা তো হতেই পারেনা। অনেকেই আছেন যারা অপেক্ষা করে থাকেন কখন উৎসব আসবে আর মদ্যপান করবেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু এবারে যে রেকর্ড পরিমাণ বাংলায় মদ বিক্রি হবে সেটা হয়তো কেউ ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি। এখন আপনিও কি জানতে ইচ্ছুক যে এই বছর দুর্গাপুজোর সময়ে বাংলায় ঠিক কত টাকার মদ বিক্রি হয়েছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই আর্টিকেলটির ওপর।
দুর্গাপুজোয় রেকর্ড মদ বিক্রি
সম্প্রতি রাজ্যের আবগারি দফতরের তরফে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। আর এই রিপোর্ট দেখে চোখ কপালে উঠেছে বেশিরভাগ মানুষের। এই রিপোর্টে সাফ সাফ জানানো হয়েছে দুর্গাপুজোর ঠিক কোন কোন দিনে সব থেকে বেশি মদ বিক্রি হয়েছে বাংলায়। জানা গিয়েছে চলতি বছর অষ্টমী নবমী এবং দশমীতে সবথেকে বেশি মদ বিক্রি হয়েছে বাংলায়। যেহেতু এবারের অষ্টমী ও নবমী একই তিথিতে পড়েছিল তাই এটিকে একদিন এবং বিজয়া দশমীর দিনটিকে একদিন হিসেবে ধরা হচ্ছে। ফলে টানা দুদিন ব্যাপক পরিমানে মদ বিক্রি হয়েছে বাংলায়।
শুধু তাই নয় তার সঙ্গে দোসর হয়েছে টানা বৃষ্টিপাত। এই বছর দুর্গাপুজোর সময় বাংলায় ভারী বৃষ্টি না হলেও বেশ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাতেও বেশ খানিকটা পতন দেখা দিয়েছিল। যে কারণে এই মদ বিক্রির মাত্রাটাও বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছিল বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল। প্রতিবছরের অন্যান্য মদের তুলনায় বিয়ারের বিকটি বেশি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে আফগারি দফতরের তরফে।
কত টাকা আয় করল রাজ্য?
২০২৩ সালে পুজোর সময়ে মদ বিক্রি করে রাজ্য আয় করেছিল ৬২০ কোটি টাকা মতো। সেইসময়ে নবমীতেই ২০০ কোটি টাকা আয় হয়েছিল রাজ্যের। ডায়মন্ড হারবার থেকে শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর কলকাতায় রেকর্ড পরিমাণে মদ বিক্রি করেছিল। যদিও এবারের হিসেবে আগের বছরের তুলনায় আড়াই গুণ বেশি মদ বিক্রি হয়েছে বাংলায়। যদিও কত কোটি টাকার এই মদ বিক্রি হয়েছে তা এখন অবধি জানানো হয়নি। মনে করা হচ্ছে উৎসবের দিনগুলি শেষ হবার পরেই এ বিষয়ে হিসাব দেবে রাজ্যের আবগারি দফতর।